মনোনয়ন পর্বে লাগামছাড়া হিংসা ও গুলিতে চার জনের মৃত্যু নিয়ে বিরোধীরা দৃষ্টি আকর্ষণ করার পর বৃহস্পতিবার রাজ্য জুড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে পঞ্চায়েত ভোট করার নির্দেশ দেয়। সে সময় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশ মেনে চলার কথাই বলেছিলেন কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পার হতেই মত বদল। তারও ৪৮ ঘণ্টা আগে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের ৭ স্পর্শকাতর জেলাতেই শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়নের মাধ্যমে পঞ্চায়েত ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু সেই নির্দেশ পুর্নবিবেচনার আর্জি নিয়েই কলকাতা আদালতের দ্বারস্থ হন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা।
কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশ মতো কমিশন কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ হন প্রধান বিচারপতি। ভর্ৎসনা করেন কমিশনকে। পরে বিরোধীরা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নজরে আনলে ক্ষয়ক্ষতি যাতে আরও না বাড়ে তাই ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট গোটা রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়নের নির্দেশ। একইসঙ্গে পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ চাইলে উচ্চ আদালতে যেতে পারে কিন্তু তার আগে এই নির্দেশ মানা দরকার। সেই পথে হেঁটেই শীর্ষ আদালতের দরজায় কড়া নাড়ল রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ্য, এদিনই কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়নের সিদ্ধান্তকে তীব্র কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী ক্যাঁচকলা করবে। প্রশ্ন তোলেন, আমাকে একটা রাজ্য দেখান, যেখানে মানুষ শান্তিপূর্ণ ভাবে এত নমিনেশন জমা দিতে পেরেছে ।” একইসঙ্গে মণিপুরের অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী কী করেছে? তাঁর কথায়, ২০১৩ সালে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করিয়েছিলেন, তাতেও ৩৯ জন ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছিলেন।