স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রেবা মণ্ডল নামে ওই মহিলা এই দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অনান্য দিনের মত শনিবার সকালেও অটোয় চেপে ডিউটিতে আসছিলেন শ্যামপুরের মাধবপুরের বাসিন্দা রেবা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী অটোটি উলুবেড়িয়া ষ্টেশন রোডের দিকে যাওয়ার সময় সকাল ৭ টা নাগাদ নোনা কামারশালার কাছে উল্টোদিক থেকে আসা ম্যাটাডোর অটোর ডানদিকে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনায় অটোর ডানদিকে বসে থাকা ওই মহিলার ডান হাত কেটে রাস্তায় পড়ে যায়। দুর্ঘটনার পর আহত অবস্থায় ওই মহিলাকে প্রথমে উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ওই মহিলাকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই মহিলার কাটা হাত জোড়া লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ম্যাটাডোর ও অটোর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটল এবং গাফিলতি কার তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে পুলিশ।
অন্যদিকে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়ে সাধারণ মানুষ। তাদের অভিযোগ উলুবেড়িয়া শহরের মধ্যে দিয়ে যাওয়া এই ব্যাস্ত ওটি রোডে বেপরোয়াভাবে অটো এবং ম্যাটাডোর সহ বিভিন্ন যানবাহন যাতায়াত করে। সেই কারণেই এদিনের এই দুর্ঘটনা ঘটল বলে জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। অবিলম্বে পুলিশি নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা অনিল বিশ্বাস এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আজ সকালে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে শুনলাম। ভাবতেই গা শিরশির করছে। ওই মহিলা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক এই কামনা করি। এখানকার রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত বেপরোয়াভাবে ছোটো থেকে বড় সব ধরনের গাড়ি চলাচল করে। বেপরোয়াভাবে অটোও চলাচল করে। কিন্তু কোনও পুলিশ নজরদারি নেই। আগেও একাধিকবার এই ছোটোখাটো দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ প্রশাসনকে জানানোর পরও তাঁরা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা চাই অবিলম্বে এই এলাকার যান চলাচলের গতি নিয়ন্ত্রণ করা হোক।’