যদিও সৈকতকে না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হয় পুলিশকে। রাতে সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের নয়াবস্তি পাড়ার বাড়িতে বিরাট পুলিশের একটি দল হানা দেয়। ওই দলে ছিলেন এই মামলার তদন্তকারী অফিসার তথা ডিআইবি ইন্সপেক্টর নিতেশ লামা, আইসি কোতয়ালি অর্ঘ সরকার সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা। তাঁরা অভিযানে নামেন।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িতে সৈকতকে না পাওয়া যাওয়ায় বিভিন্ন হোটেলে তল্লাশি চালানো হয়। জানা গিয়েছে জলপাইগুড়ি শহরে নেই সৈকত। জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় একজন প্রভাবশালী নেতা বলেই মনে করেন অনেকে।
তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। গত ১লা এপ্রিল জলপাইগুড়িতে এক দম্পতির জোড়া আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। দম্পতি অপর্না ভট্টাচার্য ও সুবোধ ভট্টাচার্যের মৃত্যুর পর তাঁদের কাছ থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়। সেই নোটে মৃত্যুর জন্য সৈকত চট্টোপাধ্যায় সহ চারজনকে দায়ী করা হয়।
এরপর চারজনের বিরুদ্ধে মৃত সুবোধ ভট্টাচার্যর দিদি তথা BJP বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় কোতয়ালি থানায় অভিযোগ করেন। কিন্তু পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শিখা দেবী। হাইকোর্ট তদন্তে পুলিশের গাফিলতির কথা মেনে নিয়ে এডিজি কে জয়রামনকে তদন্তের নির্দেশ দেয়।
গতকাল জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের আগাম জামিন নাকচ হবার ফলে বিপাকে পড়েছেন তিনি। সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে ধরতে পুলিশের সক্রিয়তার ফলে সমস্যার পড়েছেন তিনি, এমনটাই মনে করছেন অনেকে। এই বিষয়ে জেলাস্তরের এক তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, “সমগ্র বিষয়ের ওপরে আমাদের নজর রয়েছে।
আইন আইনের পথে চলছে। যেহেতু আদালতের বিচারাধীন বিষয় তাই কোনও মন্তব্য করব না। তবে কেউ দোষ করে থাকলে তাঁকে শাস্তি পেতে হবে”। যদিও পুলিশ প্রচুর জায়গায় তল্লাশি চালালেও, এখনও পর্যন্ত সৈকতকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি বলেই খবর পাওয়া গিয়েছে।