NEET Topper: NEET-এ বাজিমাত পূর্ব মেদিনীপুরের যমজ ভাইয়ের, ‘হবু ডাক্তার’-দের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত এলাকাবাসী – purba midnapore twins has done good rank in neet 2023


West Bengal Latest News NEET-এ বাজিমাত যমজ দুই ভাইয়ের। সর্বভারতীয় পরীক্ষায় ফের একবার চোখ ধাঁধানো ফলাফল পূর্ব মেদিনীপুরের। গত ১৪ জুন বুধবার প্রকাশিত হয়েছে NEET-এর ফলাফল।

সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষায় রীতিমতো বাজিমাত করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের জগন্নাথপুর গ্রামের যমজ দুই ভাই। চয়ন হুদাইত ও সায়ন হুদাইতের সাফল্যে আপাতত খুশির বন্যায় ভাসছে গোটা পরিবার।

NEET UG 2023 Topper : এক চান্সেই NEET পাশ বাঁকুড়ার অর্ণবের, সাফল্যের রহস্য ফাঁস হবু ডাক্তারের
প্রত্যন্ত গ্রামে থেকে পড়াশোনা করেছেন চয়ন এবং সায়ন। তাঁদের বাবা চন্দন হুদাইত বরাবর ছেলেদের ‘পরিশ্রমী’ হওয়ার বার্তা দিয়ে এসেছেন। তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার WBSEDCL-এর ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত, অন্যদিকে তাঁর স্ত্রী সুদেষ্ণা হুদাইত তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড জেলা হাসপাতালের S.N.C.U বিভাগের সিনিয়ার নার্স।

মাকে দেখেই মূলত ডাক্তারি পেশা নিয়ে আগ্রহ জন্মায় চয়ন এবং সায়নের। তাঁরা পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মহিষাদলের দিশারি পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। এরপর রাজস্থানের C.B.S.E বোর্ডের স্কুল থেকে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়াশোনা করেন। একইসঙ্গে তাঁদের লক্ষ্য ছিল সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া।

NEET UG 2023 Result : ফুল মার্কসের টক্করে ‘টাই-ব্রেকার’ বয়স
দ্বাদশ শ্রেণিতেও চোখ ধাঁধানো ফলাফল দুই ভাইয়ের। NEET-এ ৭২০ নম্বরের মধ্যে চয়ন পেয়েছেন ৬৯০ এবং সায়ন পেয়েছেন ৬৬৪। চয়নের অল ইন্ডিয়া র‍্যাঙ্ক ৬৭৯ এবং সায়নের র‍্যাঙ্ক ৩,৯৪৬। এলাকার দুই পড়ুয়ার সাফল্যে স্বাভাবিকভাবেই আপ্লুত মহিষাদলের মানুষরা। আগামীদিনে তাঁরা এলাকার আরও মানুষজনকে অনুপ্রাণিত করবে, এমনটাই প্রত্যাশা হুদাইত পরিবারের প্রতিবেশীদের।

যমজ দুই সন্তান একসঙ্গে সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষায় স্থান করে নেওয়ায় স্বাভাবকিভাবেই খুশি তাঁদের পরিবার এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

CUET Exam: কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চান? জানুন কুয়েট প্রবেশিকা পরীক্ষার খুঁটিনাটি
সুদেষ্ণা হুদাইত জানিয়েছেন, “ওদের দিদি শ্রীজিতা হায়দরাবাদের একটি মেডিক্যাল কলেজের MBBS-এর ফাইনাল ইয়ারের পড়ুয়া। চয়ন এবং সায়ন দুই জনেই ছোট বেলা থেকেই মেধাবী। কখনও পড়াশোনায় ফাঁকি দেয়নি। ওদের আলাদা করে পড়াশোনা করার জন্য বলতে হয়নি। তিন সন্তান যাতে চিকিৎসক হয়ে আগামীদিনে গরিবদের সেবা করতে পারে সেই আশাই করি।”

অন্যদিকে, সায়ন এবং চয়নের শিক্ষকরা বলেন, “ওরা ছেলেবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী। মাধ্যমিকেও ওরা ভালো ফলাফল করেছে। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলোতেও ওরা ভালো ছিল।” মেধার নিরিখে বরাবর অন্য় জেলাগুলিকে টেক্কা দিয়েছে মেদিনীপুর। স্বাভাবিকভাবেই এই দুই কৃতীকে নিয়ে উচ্ছ্বাস এলাকাবাসীর মধ্যে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *