ঠিক কী কারণে বৈঠক?
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কমিশনারের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করতে পারেন রাজ্যপাল। বাহিনী প্রসঙ্গ, ভাঙড়ও উঠে আসতে পারে আলোচনায়, প্রাথমিক অনুমান ওয়াকিবহাল মহলের।
উল্লেখ্য, ISF এবং তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছিল ভাঙড়। শুধু ভাঙড় নয়, মনোনয়ন জমা নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে অশান্তির ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবিতে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। এই মর্মে তাঁরা আদালতেও গিয়েছিলেন।
প্রথমে কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলায় স্পর্শকাতর জেলাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল। এরপর অবশ্য কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ জানিয়েছিল, রাজ্যের সমস্ত জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে নির্বাচন করতে হবে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের থেকে বাহিনী চাইতে হবে, কমিশনকে এই নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।
যদিও এদিন কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য এবং কমিশন। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিষয়টি কমিশনার এবং রাজ্যপাল বৈঠকে উঠে আসে কিনা এখন তা দেখার।
পাশাপাশি, স্বরাষ্ট্র সচিব ও ডিজির সঙ্গে বৈঠকের পরেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন স্পর্শকাতর অঞ্চল, স্পর্শকাতর বুথের তালিকা চেয়েছে জেলাগুলি থেকে। ন্যূনতম ১০% স্পর্শকাতর বুথ, স্পর্শকাতর অঞ্চলের তালিকা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাগুলিকে।
সুপ্রিম কোর্টের মামলায় এই তথ্য কাজে লাগতে পারে বলে মনে করছে প্রশাসন। এই স্পর্শকাতর অঞ্চল ও স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যার উপরই নির্ভর করবে বাহিনী মোতায়েন। কমিশনের তরফে জেলাগুলি থেকে বুথ ভিত্তিক ও অঞ্চল ভিত্তিক তালিকা চাওয়া হয়েছে বলেই কমিশন সূত্রে খবর। পাশাপাশি ২২ জেলায় ২২ জন বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হবে, রাজ্য নির্বাচন সূত্রে খবর এমনটাই। জেলাভিত্তিক পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় তাঁরা নজরদারি চালাবেন। রাজ্যের IAS পদমর্যাদার ব্যক্তিদের নিয়োগ করা হবে বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেবে।