ঠিক তেমনই খড়দা বিধানসভা এলাকার পঞ্চায়েতেরও ছবিটা এই রকম। বিশেষ করে বিলকান্দা ১ এবং ২ এ। নমিনেশন জমা দেওয়ার শুরু থেকেই বিরোধীরা এগিয়ে ছিলেন, সব শেষে শাসক তৃণমূল মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছে। আর মনোনয়ন পত্র জমা শেষে এগিয়ে তৃণমূল। এলাকায় রাস্তাঘাট, আলো হলেও প্রধান সমস্যা পানীয় জলের। দীর্ঘদিন ধরেই এই সমস্যা।
প্রত্যেকের মোটর বসানোর ক্ষমতাও নেও, তাই অনেকটাই দূর থেকে পানীয় জল আনতে হয় অধিকাংশ পরিবারকে। পাশাপাশি কিছু মানুষ আবাস যোজনার ঘর নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রার্থীর কাছে। তবে প্রার্থী আশ্বাস দিয়েছেন ২০২৪ সালের মধ্যে পানীয় জলের সমাধান করবেন এবং যারা ঘর পাননি তাঁদের নামও লিখিয়ে দেবেন।
এই এলাকায় শাসক দল এগিয়ে। কেন বিরোধীদের দেখা নেই এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন সকলেই। কিসের ভয়ে ক্যামেরার সামনে কেউ আসতে চাইছেন না তা জানা যায়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর অবশ্য দাবি, “এই এলাকা শান্তিপূর্ণ এলাকা। এখানে বিরোধীরা ভোটে দাঁড়ালেও তাদেরকে কোনওভাবে কেউ বাধা সৃষ্টি করেনি।
তাঁরা কেন ময়দানে নেই সেটা তাঁরাই বলতে পারবেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উন্নয়ন করেছেন, সেখানে দাঁড়িয়ে কোনও বিরোধী দলই মানুষের সমর্থন পাবে না। তৃণমূল কংগ্রেসের বেশিরভাগ প্রার্থীই এবার নতুন। আগামী দিনে এলাকায় আরও উন্নয়ন করবেন, মানুষের পাশে থেকে”।
এই যে তৃণমূল সেটা কি নতুন তৃণমূল? এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল প্রার্থী জানান, “তৃণমূল একটাই তা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল”। এত দুর্নীতির অভিযোগ, ED CBI এর জালে তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতৃত্ব, তারপরেও তৃণমূল কংগ্রেসেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধী দলগুলি থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে।
যদিও কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে মনোনয়ন পত্র তুলে নেওয়ার জন্য শাসক দলের তরফ থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বিরোধী দলের প্রার্থীদের। কিন্তু সেই অভিযোগ সামনাসামনি করতে কেউ রাজি হননি। তাই বিলকান্দা ১ ও ২ ঘুরে যেটা বোঝা গেল, সবুজ আবির মাখতে শুধু সময়ের অপেক্ষা।