জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্ত ভারত থেকে বাংলাদেশে যাওয়া যাত্রীদের ব্যাগ ভরে ভরে ফুচকার প্যাকেট চলে যাচ্ছে বাংলাদেশে। এক দুই প্যাকেট নয় প্রতিদিন এভাবেই কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশে যাচ্ছে বহু ফুচকার প্যাকেট। সীমান্ত এলাকার ব্যবসায়ীরাও বাড়তি মুনাফার অর্জনের জন্য অন্যান্য সামগ্রীর পাশাপাশি ব্যাপকভাবে বিক্রি করছেন এই রেডিমেড ফুচকা।
সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরার আগে এই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেই ফুচকা কিনে নিচ্ছেন অনেকেই। বর্তমানে পেট্রাপোলের প্রতিটি দোকানে রমরমিয়ে চলছে এই ফুচকার লেচির ব্যবসা। এদিকে এই ফুচকার লেচি এপার থেকে অল্প টাকায় কিনে নিয়ে গিয়ে চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে ওপার বাংলায়।
ভারত থেকে ফুচকার লেচির প্যাকেট ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় কিনে নিয়ে গিয়ে তা বাংলাদেশে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়, সূত্রের খবর এমনটাই। আর এতে স্বাভাবিকভাবেই খুশি সীমান্ত এলাকার ব্যবসায়ীরা। ওপারে যাওয়া যাত্রীদের ফুচকা কেনার হিড়িকে বাড়তি মুনাফা ঢুকছে ঘরে।
এক ফুচকা ক্রেতা হাসিনা বলেন, “আমরা ফুচকা কিনে নিয়ে যাচ্ছি।” তবে তা কত টাকায় কোথায় বিক্রি করা হবে এই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি হাসিনাা।
অন্যদিকে, পেট্রাপোল এলাকার এক ফুচকা ব্যবসায়ীর কথায়, “এখানে ব্যাপক ফুচকার চাহিদা বেড়েছে। এর অন্যতম কারণ বাংলাদেশিরা অনেকেই এখান থেকে ফুচকা নিয়ে ওপার বাংলায় যাচ্ছেন। ফলে এই দেশের ব্যবসায়ীরা অনেকটাই লক্ষ্মীলাভ করছেন।”
অপর এক ব্যবসায়ীর কথায়, “কোথায় যাচ্ছে এই রেডিমেড ফুচকা সেই সম্পর্কিত তথ্য আমার কাছে নেই। তবে সম্প্রতি আমাদের ফুচকার ব্যবসা অনেকাংশে বেড়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা যথেষ্ট খুশি।” ওপার বাংলার নাগরিকদের কথায়, ভারতের ফুচকা একপ্রকার ‘দামে কম মানে ভালো।” তাই তাতে মজেছেন তাঁরা।
এদিকে ভারতের ফুচকায় বাংলাদেশের ভাগ বসানোর বিষয়টি নজরে এসেছে এই দেশের নাগরিকদেরও। অনেকেরই মশকরা, “এই স্বাদের ভাগ হবে না। বাংলাদেশে নিয়ে গেলেও ভারতের ফুচকার স্বাদ কি আর ওপারে মিলবে…”।