নদিয়া জেলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে স্টেট যোগা চ্যাম্পিয়ন হয়ে যোগা কুমারীর খেতাব জিতেছে। কিন্তু থাইল্যান্ডে না যেতে পারার আক্ষেপটা রয়েই গেছে। মা ঝুমা দাস জানান, “মেয়ের ছোট থেকে যোগার প্রতি নেশা ছিল। সেটাকে পুনরায় পেশা হিসেবে বেছে নেয় সে। বয়স মাত্র ১৩।
তার মধ্যে একের পর এক সাফল্য তার হাতের নাগালে এসেছে ঠিকই। কিন্তু অভাবের সংসারে অর্থের কারণে থাইল্যান্ডে যেতে পারেনি”। এই আক্ষেপটা যেন কোনও মতেই ভুলতে পারছেন না সুনয়নার মা ও বাবা। সুনয়নার মা ঝুমা দেবী বলেন, “মেয়ের সাফল্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতে স্পন্সররা এগিয়ে আসুন, সাহায্য করুন আমার মেয়েকে”।
বাবা পিন্টু দাস জানান, “আমি এখানেই শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের অস্থায়ী সিকিউরিটি পদে রয়েছি। প্রতিমাসে ঠিকমতো বেতন পাই না। তাই বাধ্য হয়ে টোটো চালাতে হয়। সুনয়না এই যোগার মাধ্যমেই আরও অনেক দূর যেতে চায়। সাফল্য এখনও কিছুই আসেনি তার কাছে। জেলা ছাড়িয়ে রাজ্য ছাড়িয়ে দেশ বিদেশেও খেতাব জয়ের লক্ষ্য রয়েছে তাঁর”।
শক্তিনগর গার্লস হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী সুনয়নাকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত তাঁর বন্ধু-বান্ধব এবং শিক্ষক শিক্ষিকাও। মা ঝুমা দাসের কাছেই বাড়িতে প্রথম যোগা শুরু। এরপর প্রথমে জেলা, জেলা থেকে রাজ্য, রাজ্য থেকে দেশের হয়ে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে সুনয়না।
তবে তার মুখেও সেই আক্ষেপের সুর অর্থাৎ থাইল্যান্ড যেতে না পারাটা। আগামী দিনেও তার সেরাটা উজাড় করে দিতে চায় সে। আর এই সাফল্য দিয়ে বাবা-মায়ের সমস্ত দুঃখ ঘোচাবে সুনয়না। এমনটাই আশা তাঁর। সুনয়না বলে, “থাইল্যান্ড যেতে পারলে ভালই হত।
আরও অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারতাম। কিন্তু আর পিছনে ফিরে তাকিয়ে লাভ নেই। সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। যদি কোনও স্পন্সরের সাহায্য পাই, বা সরকারি সাহায্য পেলে একটু সুবিধে হবে”।