কোচবিহার মেখলিগঞ্জের বাসিন্দাদের কাছে অত্যন্ত জাগ্রত টেনশন ঠাকুর। যেকোনও সমস্যার টেনশন থেকে মুক্তি পেতে এই ঠাকুরের দ্বারস্থ হন স্থানীয় বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, সাত বছর আগে শুরু এই ঠাকুরের পুজো। কী ভাবে, কোন পরিস্থিতিতে এই দেবতার জন্ম, তা আর এখন কারওরই মনে নেই। স্মৃতিতে রয়ে গিয়েছে শুধু টেনশন ঠাকুরের আর্শীবাদে সমস্যার সমাধান হওয়ার ঘটনা। জীবনের যেকোনও ধরনের টেনশন থেকে মুক্তি পেতে একমাত্র আশ্রয় স্থল টেনশন ঠাকুর। কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে টেনশন ঠাকুর সবথেকে বিখ্যাত। বেকারত্ব থেকে ভাঙা প্রেম সবেরই সমাধানসূত্র আছে টেনশন ঠাকুরের কাছে বলে বিশ্বাস ভক্তদের।
টেনশন ঠাকুরের পুজোর নিয়ম
কেমন দেখতে এই টেনশন ঠাকুরকে? রাস্তার পাশে এক বেদীতে শুধুই একটি মানুষের মাথার মতো এক মাথা। টেনশন ঠাকুরের এমনই অবয়ব। তবে পুজোর ক্ষেত্রে তেমন কোনও কঠিন নিয়ম নেই। পাঁচ ফল দিয়ে আরাধনা, পুজো শেষে জোটে ভোগ প্রসাদে। তবে জৈষ্ঠ্য মাসের শেষদিন রীতিমতো ঢাক বাজিয়ে, ধূপ-ধুনো জ্বেলে, পাঁচ রকমের ফল দিয়ে হল পুজো। এদিন পুজোয় বসেন পুরোহিত। ঢাকের শব্দে একে একে ভিড় জমাতে শুরু করেন এলাকার বাসিন্দারা। এদিন বাড়তি পাওনা পুজো শেষে খিচুড়ি প্রসাদ। কেউ বা বেকারত্ব, কেউ প্রেম, কেউ আবার চাষের সমস্যা তো কেউ ভোট শান্তিপূর্ণ হওয়ার আবেদন নিয়ে এসেছিলেন টেনশন ঠাকুরের কাছে। তাদের বিশ্বাস টেনশন ঠাকুর তাদের সমস্যার সমাধান করে টেনশন মুক্ত করবেন।
এলাকার বাসিন্দারা বলেন, ”মানুষের জীবনের সমস্ত টেনশন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যই টেনশন ঠাকুরের পুজো হচ্ছে। এই মুহূর্তে চারিদিকে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে টেনশন চলছে। ভোটের টেনশন যাতে কমে সেই প্রার্থনাও ঠাকুরের কাছে জানানো হল।” বিশেষত, বেকারত্বের জ্বালায় পুড়তে পুড়তে টেনশনে ভোগা অসহায় যুবক যুবতীদের একান্ত আশ্রয় তিনিই। জৈষ্ঠ্যের শেষ দিনে খানিক টেনশনমুক্তি ঘটল বলে দাবি ভক্তদের। তবে শুধু বিশেষ তিথি নয়, রোজই চলে তাঁর নিত্য পুজো।