সূত্রের খবর, রাত আটটা নাগাদ শাসকদলের লোকজন ওই দুটি বুথের প্রার্থীদের মনোনয়ন কেন্দ্রে নিয়ে আসে৷ মনোনয়ন জমা নেওয়ার জন্য ঝামেলাও করে৷ বিরোধীরা তাদের বাধা দেয়৷ শেষ পর্যন্ত BDO ঘটনাস্থলে এসে জানিয়ে দেন, আর মনোনয়ন জমা নেওয়া যাবে না৷ এই নিয়ে পুরাতন মালদা ব্লক কংগ্রসের সভাপতি গোপাল সরকার বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বেলা তিনটের সময় মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা পেরিয়ে যায়৷
তখনও পর্যন্ত তৃণমূল সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোরগ্রাম আর ১ নম্বর বিমল দাস কলোনির বুথে প্রার্থী দিতে পারেনি৷ রাত আটটা নাগাদ ওরা BDO অফিসে এসে মনোনয়ন জমা দিতে চায়৷ পুলিশও ওদের পক্ষে ছিল৷ আমরা এর প্রতিবাদ করি৷ শেষ পর্যন্ত BDO এসে জানিয়ে দেন, আর মনোনয়ন জমা নেওয়া যাবে না৷
ওরা ফিরে যেতে বাধ্য হয়৷ আসলে দলের কোন্দল আর মানুষের পাশ থেকে সরে যাওয়ার জন্যই তৃণমূলের এই দুর্দশা”। CPIM নেতা পবিত্র বাড়ই জানাচ্ছেন, “শাসকদল এখন দুর্নীতিতে আটকে রয়েছে৷ বিভিন্ন জায়গায় ওই দলের প্রার্থী হতে চাইছেন না কেউ৷ এরা জোর করে নিজেদের লোকজনদের ধরে প্রার্থী করছে৷
এরা সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি বুথে প্রার্থী দিতে পারেনি৷ এসবই বলে দিচ্ছে, আগামী দিনে কী হতে যাচ্ছে৷ আমরা বামপন্থী৷ আমরা লড়াই করতে সবসময় প্রস্তুত৷ লড়াই করেই আমরা দুর্নীতিমুক্ত ত্রিস্তর পঞ্চায়েত মানুষকে উপহার দেব”। এই নিয়ে BJP-র উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি তাপস গুপ্ত বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী দিতে পারছে না ভাবলে অবাক লাগে৷
তবে ওরা সব পারে৷ আজও ওরা মনোনয়ন জমা করতে পারে৷ আসলে প্রার্থী নিয়ে গোষ্ঠী কোন্দল ওরা সামলাতে পারেনি৷ তাতেই দুটি বুথে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন করাতে পারেনি ওরা৷ আমার মনে হয়, আরও অনেক জায়গায় এমন ঘটনা ঘটেছে৷ তবে ওদের হয়ে প্রশাসন নোংরাভাবে মাঠে নেমেছে৷
বৃহস্পতিবার জেলা শাসক বিকেল চারটের পর শাসকদলের প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা নেওয়ার জন্য আধিকারিকদের বাধ্য করেন৷ আমরা এর বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছি”। তৃণমূলের পুরাতন মালদা ব্লক সভাপতি (গ্রামীণ) নব্যেন্দু সেন জানান, “ভোটার তালিকায় কিছু সমস্যা থাকায় আমাদের একজন মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি৷ আরেকজন প্রার্থীর শরীর খারাপ হয়ে যাওয়ায় তিনি নির্দিষ্ট সময়ে মনোনয়ন কেন্দ্রে পৌঁছোতে পারেননি৷ এর জন্য আমরা দুটি বুথে মনোনয়ন জমা দিতে পারিনি”।