এদিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভ উগরে বলেন, ”আমি মাথা নত করার লোক নই। এরা এত চেষ্টা করছে আমাকে দমানোর পারছে না। আমি মানুষের কর্মী। ওরা ভাবছে আমাকে ধমকে চমকে ঘরে ঢুকিয়ে রাখবে। বিজেপি ইডি-সিবিআই-কে ব্যবহার করে নিজেদের দলের শ্রীবৃদ্ধির জন্য। যেভাবে মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, নারায়ণ বিশ্বশর্মাকে ভাঙিয়ে নিয়ে গিয়েছে, সেভাবেই চেষ্টা করছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হয় ভাঙাও, নয় বসাও, নয় জেলে ঢোকাও। আমি যতদিন রাজনীতি করব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে করব। আমরা অন্য ধাতুতে তৈরি। আমরা বেইমান নই। গলা কেটে দিলেও জয় বাংলা বেরবে।”
এখানেই শেষ নয়, তিনি এও বলেন, রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলেও অন্য দলে যাবেন না। তাঁর মুখে শোনা যায়. রাজনীতি ছেড়ে দিলে ভারত সেবাশ্রমের মতো সংস্থার সঙ্গে মানুষের সেবার কাজ করবেন।
এখানেই শেষ নয়, ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অতীতের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ”২০২১ সালে কত চেষ্টা করে ছিল আমার লোকসভা কেন্দ্রতে জিততে। আমার লোকসভা কেন্দ্র টার্গেট করে সোনালি গুহকে বিজেপিতে জয়েন করাল। দীপক হালদারকেও নিয়ে এল । তাতে কী হল, ডায়মন্ড হারবারেও তৃণমূল জিতল, সাতগাছিয়াও জিতল। যত কুৎসা করবে তত গর্তে ঢুকবে। ওদের কোনও ক্ষমতা নেই।”
বিজেপিকে হুঁশিয়ারি অভিষেকের,” ২১-এর থেকেও বেশি ভোট পাবে তৃণমূল। প্রত্যেকটা জেলা পরিষদ মানুষের ভোটে জিতবে তৃণমূল। ওদের কাছে সব কিছু থাকলেও তৃণমূলের কাছে মানুষের ভালোবাসা আছে। এটাই পার্থক্য।”