ইতিপূর্বেই আবহাওয়া দফতরের তরফে উত্তরবঙ্গের ৫ জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। আগেই জানানো হয়েছিল, দার্জিলিং, কালিংপঙ,আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টি হবে। অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহ জারি থাকবে। সেই বার্তাকে সত্যি করে লাগাতার ভারী বৃষ্টি হচ্ছে আলিপুরদুয়ারে। ওই বৃষ্টির ফলে তাপমাত্রা অনেকটাই নিচে নেমে এসেছে।
এই মুহূর্তে আলিপুরদুয়ারের তাপমাত্রা রয়েছে ২৫°সেলসিয়াস। যা অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেকটাই কম। আলিপুরদুয়ার শহরের বেশকিছু ওয়ার্ড জলমগ্ন রয়েছে। পুরসভার ৮, ৯, ১৫, ১৮ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় জলমগ্ন। জরুরি ভিত্তিতে সেই জল সরানোর কাজ শুরু করেছে পুরসভা।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই নিকাশি ব্যবস্থার গতি বাড়াতে আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া নদী বাঁধের ওপরে ৩ টি শক্তিশালী মোটর বসিয়েছিল পুরসভা। বিভিন্ন নদী গুলির উপরে নজর রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন নদী গুলি ফুলে ফেঁপে উঠলেও, এখনও কোনো নদীতে সতর্কতা জারি করা হয়নি।
আলিপুরদুয়ারের ১৩২.৪০ মিমি, হাসিমারা ১২৪ মিমি বৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক বিপ্লব সরকার জানান, বেশ কিছু নদীর জলস্তর কিছুটা বেড়েছে। তবে এখনই কোনও বিপদ সংকেত ঘোষণা করা হয়নি। বেশ কিছু জলমগ্ন এলাকা এদিন পরিদর্শনে যান সেচ দফতরের আধিকারিকরা।
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ইতিমধ্যেই বর্ষা প্রবেশ করেছে। গত বছরের বন্যার স্মৃতির কথা মাথায় রেখে এ বছর আগে থেকে প্রস্তুত থাকছে জেলা প্রশাসন। বন্যা, বিপর্যয় মোকাবিলা করার জন্য এ বছর আলাদা একটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দল প্রস্তুত করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে।
তবে উত্তরবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করলেও দক্ষিণ বঙ্গের এখনও বৃষ্টির জন্য চাতকের অপেক্ষায়। যদিও আজ অর্থাৎ রবিবার দুপুরে বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল কলকাতায়। এমনকি বৃষ্টির সঙ্গে হালকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলেও জনানন হয়। কলকাতার পাশাপাশি বৃষ্টিতে ভিজতে পারে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাও বলেও জানানো হয়। পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনাতেও, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা আগেই জানানো হয়।
দক্ষিণবঙ্গে আগামী ১৯ থেকে ২২ তারিখের মধ্যে বর্ষা প্রবেশ করার কথা রয়েছে। অপেক্ষায় রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা। তার আগেও রবিবার বেলা পর্যন্ত দাবদাহে ভুগতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। সে জায়গায় বর্ষার শুরুতেই ইতিমধ্যে ভাসতে শুরু করেছে উত্তরবঙ্গের জেলা।