Calcutta High Court : দীর্ঘ ৩১ বছরের বকেয়া বেতন মেটানোর নির্দেশ – calcutta high court orders refund of 31 years of outstanding salary with interest retired clerk ganesh chandra tikadar


অমিত চক্রবর্তী

স্কুলের চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন বছর পাঁচেক হলো। অবশেষে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, ৩১ বছরের বকেয়া বেতনের অংশ সুদ-সমেত ফিরিয়ে দিতে হবে ওই অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর কাছে। চাকরিতে যোগ দেওয়ার প্রায় এক দশক পর থেকেই ওই শিক্ষাকর্মী একের পর এক মামলা করেছেন। কখনও চাকরির বৈধতার জন্য, কখনও বৈধ চাকরির বকেয়া অর্থ আদায় করতে।

এ ভাবে মামলার পর মামলা লড়ে গিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার নারায়ণপুর মহিম চন্দ্র জুনিয়র হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত করণিক গণেশ চন্দ্র টিকাদার। এতদিনে বঞ্চনার অবসান হলো তাঁর।

Justice Abhijit Ganguly : বাবা রাজনৈতিক ব্যক্তি ছিলেন, অল্প বয়সেই তাঁকে হারাই…’, ছেলেবেলার স্মৃতি ভাগ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
হাইকোর্টের বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত নির্দেশ দিয়েছেন, ১৯৯২ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত অবসরপ্রাপ্ত ওই কর্মীর প্রাপ্য বেতনের যাবতীয় বকেয়া স্কুলকে মেটাতে হবে আট সপ্তাহের মধ্যে। পাশাপাশি, এতদিন এই টাকা বকেয়া রাখায় ৬ শতাংশ সুদও দিতে হবে তাঁকে।

স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নির্দেশে ১৯৭৬ সালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হিসেবে ওই স্কুলে যোগ দেন গণেশ। ২০৭৯-তে স্কুলটি সরকারি স্বীকৃতি পায়। কিন্তু গণেশের চাকরি আর স্থায়ী হয়নি। তা পাওয়ার দাবিতে ১৯৮৭ সালে হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি। প্রায় চার বছর পরে বিচারপতি মহীতোষ মজুমদার স্কুলশিক্ষা দপ্তরের তৎকালীন অধিকর্তাকে বিষয়টি বিবেচনা করার নির্দেশ দেন। কিন্তু অধিকর্তা সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন।

Calcutta High Court : আইপিএস-সহ ৯ জন অফিসারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত, জরিমানাও
১৯৯২ সালে ফের মামলা করেন তিনি। বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ওই স্কুলের স্থায়ী চতুর্থ শ্রেণির কর্মী চায়না হালদার সে বছরই অবসর নিয়েছেন বলে অন্তত ওই সাল থেকে গণেশের চাকরি পাকা হওয়া উচিত। এ নিয়ে অধিকর্তাকে বিবেচনার নির্দেশ দিয়ে আদালত মামলা নিষ্পত্তি করে দেয়। সেই নির্দেশ মেনে ২০০৩ সালে স্কুলশিক্ষা দফতর তাঁর চাকরি পাকা করে। কিন্তু ১৯৯২ থেকে তাঁর বকেয়া মেটানোর পথে আর হাঁটেনি দফতর।

সেই আবেদন নিয়ে দফতর দফতরে ঘোরার পর ২০১০ সালে তৃতীয় বার হাইকোর্টে মামলা করেন গণেশ। সেই মামলায় তাঁর আইনজীবী লক্ষ্মীকান্ত পাল অভিযোগ করেন, বছরের পর বছর শিক্ষা দফতরের তাঁর মক্কেলকে বঞ্চনা করে যাচ্ছে। আদালত নির্দেশ দেওয়ার পরেও কাজ হচ্ছে না।

WB Panchayat Election 2023 : হাইকোর্টে থাকা বিরোধীদের মনোনয়নের জন্য গন্তব্যে পৌঁছতে এসকর্ট দিতে হবে কলকাতা পুলিশকে: হাইকোর্ট
এরপরেই বিচারপতি সামন্ত গত সপ্তাহে নির্দেশ দেন, ১৯৯২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে গণেশকে স্থায়ী কর্মী হিসেবে দেখানো হলেও স্থায়ী কর্মীর বেতন তাঁকে দেওয়া হয়নি। তাই এত বছরের বকেয়া বেতন সুদ-সহ মেটাতে হবে দফতরকে। সরকারি কৌঁসুলি আপত্তি জানানোর চেষ্টা করলেও আদালত জানিয়ে দেয়, এই বঞ্চনার শেষ হওয়া উচিত।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *