দিল্লীতে একটি বেসরকারী সংস্থায় কর্মরত ছিলেন৷ বাড়িতে তিনি ছাড়াও থাকেন তাঁর স্ত্রী ও পুত্র৷ ছেলে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের অধ্যাপক ৷ এক আত্মীয়ের বিয়ে উপলক্ষ্যে তার স্ত্রী ও ছেলে বর্ধমানে গিয়েছিলেন৷ বাড়ি ফাঁকাই ছিল ৷ বাড়ির মেন গেটও খোলা ছিল৷
নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুষ্কৄতীরা পায়ে হেঁটে আসে যাতে কারও কোনও সন্দেহ না হয়৷ বৃন্দাবনবাবু জানান, তিনি দুপুরে স্নান সেরে পুজো করছিলেন। তারপর পুজো সেরে যখন খেতে যাওয়ার তোড়জোড় করছিলেন, সেইসময় আচমকা দুজন এসে তার গলায় চাকু ধরে৷
তাদের মুথ ঢাকা ছিল বলে জানা গিয়েছে। বৃদ্ধের হাত ও মুখ বেঁধে পুরো ঘর তছনছ করা হয়। প্রায় ৩ লাখ টাকার মত নগদ, একশো গ্রাম সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয় তারা৷ প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে চলে এই অপারেশন। দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যেতেই কোনওরকমে মুখের কাপড় খুলে চিৎকার শুরু করেন বৃদ্ধ। তাই শুনে এগিয়ে আসেন প্রতিবেশীরা ৷
তারাই তাকে উদ্ধার করেন৷ তারপর বৃদ্ধের কথা শুনে দুষ্কৃতীদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করে এলাকার কিছু যুবক। যেহেতু তারা পায়ে হেঁটে এসেছিল একজনকে ধরেও ফেলে৷ ধৃতের নাম নাজমুল হোসেন শেখ৷ তার বাড়ি ক্যানিং এলাকায় বলে জানা গিয়েছে৷ তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে কিছু সোনার গয়না।
এছাড়া গ্রেফতার করা হয়েছে বাড়ির গাড়িচালককেও৷ ধৃত দু’জনকেই আজ বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। এই ঘটনায় বাকিদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছেন বারুইপুর পুলিশ জেলার ডেপুটি পুলিশ সুপার মোহিত মোল্লা। তবে দিনে দুপুরে এরকম ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।