নবান্ন সূত্রে খবর, ফোনে মমতা রাজ্যপালকে প্রশ্ন করেন কী ভাবে মন্ত্রিসভার অনুমোদন ছাড়া, সম্পূর্ণ একতরফাভাবে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্যপাল? মমতার লেখা চিঠি অনুযায়ী রাজ্যপাল ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালন না করার আশ্বাস দিয়েছেন।
চিঠিতে মমতা লেখেন, ‘এক তরফাভাবে আপনার এই পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনের কথা জানতে পেরে আমি খুব অবাক ও বিস্মিত হয়েছি। আমাদের টেলিফোনিক কথোপকথনে আপনি স্বীকার করেছেন যে এক তরফাভাবে কোনও একটি দিনকে রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে ঘোষণা করার কাজটি ঠিক হয়নি। এবং আপনি অনুষ্ঠান না পালনের আশ্বাস দিয়েছেন।’
মমতা আরও লেখেন, ‘১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকে আমরা কখনও এই রাজ্যে নির্দিষ্ট কোনও দিনকে রাজ্য দিবস হিসেবে পালন করিনি। বরং ইতিহাস থেকে আমরা জেনেছি দেশভাগের কারণে অনেক জায়গায় সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। এটা কোনও রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠান হতে পারে, যা প্রতিহিংসা দ্বার প্রশয় পায়। কিন্তু এটা কখনওই কোনও সরকারের অনুষ্ঠান হতে পারে না। সরকার বা মন্ত্রিসভার অনুমোদন না নিয়ে আপনার এই একতরফা সিদ্ধান্ত রাজ্যের মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করতে পারে। এই কাজ রাজ্যের লাখ লাখ মানুষের আবেগকে অপমান করেছে।’
চিঠিতে মমতা আরও লিখেছেন, ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রকের তরফে যদি এই নিয়ে কোনও নির্দেশিকা আসে, আমরা তীব্রভাবে তাঁর প্রতিবাদ করব। আমি আপনাকে অনুরোধ করব এমন কোনও অনুষ্ঠান আয়োজন করবেন না, যা রাজ্যের কোটি কোটি মানুষকে তিক্ততার ইতিহাস মনে করাতে বাধ্য করে।’
পঞ্চায়ত নির্বাচন নিয়ে যখন রাজ্যপাল বোস সক্রিয়, হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছেন, তখন মমতার এই চিঠি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নবান্ন সূত্রে খবর, এই অনুষ্ঠান আয়োজনের পিছনে গেরুয়া শিবিরের ইন্ধন রয়েছে বলেই মনে করছে প্রশাসন। সেই কারণে কড়া ভাষায় নিন্দা করা হয়েছে।