Uttar 24 Parganas : রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন দাখিল শেষ হয়ে গেলেও ক্ষোভ বিক্ষোভ এখনও শেষ হওয়ার নাম নিচ্ছে না। কোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের জেলা পরিষদের প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ এবার মধ্যমগ্রামে জেলা কার্যালয়ের সামনে ফুটে উঠল। কোটরা অঞ্চলের তৃণমূল কর্মীরা মধ্যমগ্রামের জেলা কার্যালয়ের সামনে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে তাঁদের বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। যদিও অল্প সময়ের জন্যই এই বিক্ষোভ দেখা যায়। পরবর্তীতে নেতৃত্বের কথা মতো তা উঠে যায়। জেলা পরিষদের একই আসনে দুই প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দেন বলেই জানা গিয়েছে।
প্রথমে মহম্মদ ইছা সর্দার এবং পরবর্তীতে হাড়োয়ার বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলামের ছেলে দলীয় নির্দেশ মতো মনোনয়ন পত্র জমা দেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের ৪১ নম্বর কেন্দ্রে। সেই নিয়েই শুরু হয় শনিবার থেকে উত্তেজনা। এই বিষয়ে বারাসতের তৃণমূল সাংসদ তথা জেলা সভাপতি ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার জানান, “রাজনৈতিক দাবি থাকতেই পারে।
যারা রাজনীতি করেন তাঁদের সকলের মধ্যেই এই আকাঙ্ক্ষা থাকতেই পারে যে নির্বাচন এসেছে। তাই তাঁরা প্রার্থী হবেন। এটা আটকানো যাবে না। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত সকলকেই মেনে নিতে হয়। সেটা মেনে নিয়েই তাঁরা চলে যায়। তাঁরা একটা দাবি রাখতে এসেছিলেন। তারপর আলোচনা করে তাঁরা চলে যান”।
এই ঘটনাকে নিয়ে বড় ইস্যু না করাই উচিৎ বলে মনে করেন সাংসদ। তিনি আরও বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস যেভাবে উন্নয়ন করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে, সেই উন্নয়নে সামিল হতে মানুষ যেভাবে এগিয়ে আসছেন, তা নব জোয়ারে মানুষের জনস্রোত দেখলেই বোঝা যায়।
সেই উন্নয়নে দলীয় কর্মীরা সামিল হয়ে সেই পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করার ও দলীয় কাজ করার আকাঙ্ক্ষাই বেড়েছে”। তাঁদের এই উৎসাহকে দলীয় স্বীকৃতি দেওয়াটা দলীয় স্তরে চেষ্টা চলছে বলে জানান সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস দেশের মধ্যে একটা অন্যতম বৃহৎ দল।
এই দলে প্রচুর নেতা কর্মী রয়েছেন। এখন সবাই তৃণমূল। তাই এই দলে প্রার্থী হওয়ার জন্য মানুষের সংখ্যা বেশি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এই সমস্ত কিছুই হচ্ছে দলের তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফল্যের জন্য। সেই সঙ্গে দলীয় কর্মীদেরও মনে রাখতে হবে যে দলের সিদ্ধান্তই শেষ কথা”।