জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তাঁর আর্জি মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট। পঞ্চায়েত ভোটের আবহে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা পাবেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তবে নওশাদকে কী ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া হবে তা এখনও জানা যায়নি। কলকাতা হাইকোর্টকে তা জানিয়ে দেবে কেন্দ্র। মঙ্গলবার নওশাদকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার।
আরও পড়ুন-বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েই তৃণমূলে বিজেপি প্রার্থী, কারণ শুনলে তাজ্জব হবেন
‘আমি প্রাণহানির আশঙ্কা আছি’। পঞ্চায়েত ভোটের আগে নিরাপত্তা চেয়ে সোমবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁর দাবি, ‘পাইলট কার তো পাওয়ার প্রশ্নই আসছে না। বিধায়ক হিসেবে সম্ভবত ২-৪ জন সশস্ত্র কনস্টেবল থাকেন, সেগুলি আমি পাইনি। রাজ্য সরকারকে জানিয়েছি, নিরাপত্তা পাইনি। তারপর কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়ে এখনও পর্যন্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি’। ওই মামলায় আজ শুনানি ছিল। বিচারপতি মান্থার তাঁর রায়ে আজ বলেন, রাজ্যে বহু বিধায়ক নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে নওশাদ সিদ্দিকির নিরাপত্তার প্রয়োজন। যত শীঘ্র সম্ভব এর ব্য়বস্থা করা প্রয়োজন।
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নে রণক্ষেত্র ভাঙড়। অশান্ত হয়েছে রোজই! কেন? অভিযোগ, মনোনয়ন পেশ করতে বাধা দেওয়া হয় ISF প্রার্থীদের। পরিস্থিতি চরম আকার নেয় শেষদিনে। ভাঙড়ে ২ নম্বর বিডিও অফিসের সামনে মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়ে। সঙ্গে গুলি! গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত ২। একজন ISF কর্মী, আর একজন তৃণমূলকর্মী। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও বেশ কয়েকজন।
বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি গতকাল এনিয়ে বলেন, ‘ভাঙড়ে ছিলাম, আগামীতেও থাকব। কিন্তু বাইরে থেকে আরাবুল সাহেবরা, শওকত সাহেবরা, গুন্ডা-মস্তানদের নিয়ে এসে, ভাঙড়ে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে বা বিরোধীদের টার্গেট করার চেষ্টা করছে। সেই টার্গেটের মধ্যে তো আমিও আছি। সেজন্যই আতঙ্কে আছি। নমিনেশন পর্ব থেকে আমি বুঝতে পারলাম, এরা যে এতটা হিংস্র হয়ে উঠতে পারে, আমার জানা ছিল না’।
উল্লেখ্য, গতকালই নওশাদ সিদ্দিকি ভাঙড়ে আইএসএফ প্রার্থীপদ তুলে নেওয়ার কথা বলেন নওশাদ সিদ্দিকি। আইএসএফ বিধায়ক বলেন, ‘এই মারামারি, হানাহানির রাজনীতি করার জন্য রাজনীতির ময়দানে আসিনি। মুখ্যমন্ত্রী যদি সরাসরি কথা বলেন, আমি প্রত্যাহার করে নেব’।
নওশাদ সিদ্দিকির আশঙ্কা, ‘হয়তো ভোটকে কেন্দ্র করে, আরও বড় অশান্তি ঘটাতে পারে, শাসকের ছত্রছায়া গুন্ডা-মস্তান যারা আছে। যেভাবে ভাঙড়ে অস্ত্রশস্ত্র বোমাগুলি নিয়ে এসেছিল। আমাদের কর্মীদের খুন করল এবং একাধিক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে আছে। আমি আতঙ্কে আছি’। সঙ্গে বার্তা, ‘আমার কাছে কেউ যদি বলে, ভাঙড় থেকে প্রার্থী তুলে নিলে, ভাঙড়ে শান্তি ফিরবে। আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলে, প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে, প্রয়োজনে বুঝিয়ে, প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করতে প্রস্তুত আছি। এই মারামারি, হানাহানির রাজনীতি করার জন্য রাজনীতির ময়দানে আসিনি’।