Trending News: তিন বাচ্চার পর চতুর্থবারও সিজারের মাধ্যমে শিশুর জন্ম, সরকারি হাসপাতালে সফল সাংঘাতিক ঝুঁকির অস্ত্রোপচার – fourth time c section operation of a pregnant woman successfully done by government hospital doctor


একবার দুইবার নয়, একই গৃহবধূর চারবার সিজার অর্থাৎ সি-সেকশন অপারেশন। স্টেট জেনারেলের মতো সরকারি হাসপাতালে স্বল্প পরিকাঠামোর মধ্যে এই প্রথম এত জটিল অস্ত্রোপচার এবং প্রথমেই সাফল্য। নদিয়ার শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের ঘটনা। জানা গিয়েছে, অস্ত্রোপচারের পর মা ও শিশু দুজনেই ভালো আছেন বর্তমানে দুজনের শারীরিক অবস্থায় স্থিতিশীল।

জানা গিয়েছে, নদিয়ার তেহট্ট ব্লকের পলাশীপাড়া বাসিন্দা গর্ভবতী অসীমা দাস, গত রবিবার তিনি শান্তিপুর হাসপাতালে ভর্তি হন। এর আগে তিনি তিনবার সন্তান ধারণ করেছিলেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে একটি কন্যা সন্তান মারা যায়। বর্তমানে তার দুটি কন্যা সন্তান ছিল। পুত্র সন্তান পাওয়ার আশায় আবারও ওই গৃহবধূ গর্ভধারণ করেন। কিন্তু, এর আগে তিনবার সিজার হওয়ার কারণে চতুর্থ বার প্রসবে সাংঘাতিক প্রাণের ঝুঁকি ছিল ওই গৃহবধূর। অবশেষে শান্তিপুর হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ পবিত্র ব্যাপারীর সহযোগিতায় শান্তিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অসীমাকে। চতুর্থ সি সেকশন অর্থাৎ সিজার এদেশে তো বটেই বিদেশে বিরল।

Free Cancer Treatment : বিনামূল্যে ক্যান্সারের চিকিৎসা! সপ্তাহে ৬ দিন তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজে বিশেষ পরিষেবা

ওই গৃহবধূর জন্য সোমবার একটি মেডিকেল টিম গঠন হয় চিকিৎসক পবিত্র ব্যাপারীর তত্ত্বাবধানে। সফল অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। ওই গৃহবধূ অসীমা দাসের মা কাজল দাস বলেন, ”চারবার সিজার হওয়ার পর বর্তমানে পুত্র সন্তান হয়েছে। এখন মা এবং ছেলে দুজনেই ভালো রয়েছে। স্বভাবতই আমরা খুশি এবং চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”

Paschim Medinipur : রক্ত এল বিমান যোগে! বিরল থ্যালাসেমিয়া থেকে ‘নবজন্ম’ খুদে সুপ্রীতির

এ বিষয়ে শান্তিপুর হাসপাতালে প্রসূতি চিকিৎসক পবিত্র ব্যাপারী বলেন,” পলাশী পাড়ার বাসিন্দা অসীমা দাস গত পরশুদিন শান্তিপুর হাসপাতালে ভর্তি হন। সচরাচর চার নম্বর সিজার অপারেশন এমন রোগী পাওয়া যায় না বললেই চলে। আমরা বিভিন্ন আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেছি এবং আমার চিকিৎসা জীবনে এই প্রথম আমি চার নম্বর সিজার করলাম। খুব বেশি হলে তিন নম্বর সিজারের কেসও আমরা খুব কম পেয়ে থাকি। এই জায়গায় চার নম্বর সিজার অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এই সমস্ত রোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রাণের ঝুঁকি থাকে। সেই কারণে বিভিন্ন সময় এই ধরনের রোগীকে মেডিক্যাল হাসপাতালে স্থানান্তর করিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। যেহেতু তিনি গর্ভবতী ছিলেন সেই কারণেই তাকে একটি ঝুঁকির মধ্যে দিয়েই স্টেট জেনারেল হাসপাতালের মত পরিকাঠামোর মধ্যে অস্ত্রোপচার করা হয়। তবে খুশির খবর বর্তমানে মা এবং ছেলে দুজনেই ভালো রয়েছে। এই সমস্ত রোগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেই কথা মাথায় রেখেই একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয় এবং যাতে রক্তের অভাব না পড়ে সেই দিকে ও নজর রাখা হয়েছিল হাসপাতালে তরফে।”

Purba Bardhaman News : বর্ধমানে বিষাক্ত ফল খেয়ে অসুস্থ একাধিক স্কুল পড়ুয়া, ভর্তি হাসপাতালে

চিকিৎসক পবিত্র বেপারী আরও বলেন, ” এই প্রথম স্বল্প পরিকাঠামো যুক্ত হাসপাতালে এই ধরনের অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে।” তবে এই রকম ভাবে জীবনে ঝুঁকি নিয়ে কেউ যেন আর সন্তান নেওয়ার চিন্তাভাবনা না করে তারও অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *