Panchayat Election 2023 : তৃণমূলের মধ্যে আদি ও নব্য তৃণমূলের দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে এই বিষয়টি আরও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আর ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে এসেও এই দ্বন্দ্ব থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না রাজ্যের শাসকদল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা নিয়ে হুগলি জেলাতে দেখা গেল আদি তৃণমূলের অসন্তোষ। উল্লেখ্য, আজই মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। তার আগেই তৃণমূলের টিকিট বন্টন নিয়ে সরব হুগলির গোঘাট দুই নম্বর ব্লকের আদি তৃণমূল নেতৃত্ব।
রীতিমতো প্রেস মিট করে টাকার বিনিময়ে দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মীদের টিকিট দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা। এদিন গোঘাট দুই ব্লকের তৃণমূল সভাপতি অরুন কেউড়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন স্থানীয় আদি তৃনমুল নেতৃত্ব। তাদের অভিযোগ টাকার বিনিময়ে প্রোমোটার থেকে শুরু করে তোলাবাজ ও দুর্নীতিগ্রস্ত লোকেদের পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ব্লক তৃণমুল কংগ্রেসের সভাপতি গোঘাটে টিকিট বন্টন করেন।
এই নিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারের আগেই অস্বস্তিতে গোঘাট তৃণমূল কংগ্রেস। সাংবাদিকদের সামনে এক তৃণমূল নেতা বলেন, “গোঘাটে তৃণমূল আর সেই আগের তৃণমূল নেই। বেছে বেছে দুর্নীতিতে জড়ানো লোকদের টাকার বিনিময়ে প্রার্থী তালিকায় জায়গা দেওয়া হয়েছে। এই কারণে এবার পঞ্চায়েত ভোটে এলাকায় তৃণমূলের ফলাফল ভালো নাও হতে পারে”।
আদি তৃণমূল নেতৃত্বের বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ তথা আরামবাগ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য শাহাবুদ্দিন খান, কার্তিক সাঁতরা ও আতাউল হক দলের সব পদ থেকে পদত্যাগ করেন। যদিও গোঘাট দু নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অরুণ কেউড়া জানান, “দলের সঙ্গে আলোচনা করে প্রার্থী পদ ঠিক করা হয়েছে।
মতবিরোধ থাকতেই পারে। সেটা নিয়ে দলের অন্দরে আলোচনা করলেই ভালো। আর টাকার বিনিময়ে যে প্রার্থী করার কথা বলা হচ্ছে, তা একেবারেই মিথ্যে কথা”। যদিও এই নিয়ে বিরোধীরা তীব্র কটাক্ষ করেছে শাসকদলকে। গোঘাটের BJP নেত্রী দোলন রায় বলেন, “এখন এমন অবস্থা যে তৃণমূলের কর্মীরাই তৃণমূলকে সহ্য করতে পারছেন না।
তাহলে সাধারণ মানুষ কিভাবে ভরসা রাখবেন এই দলের ওপরে! তৃণমূল পুরো দুর্নীতিবাজ চিটিংবাজদের জায়গা হয়ে গিয়েছে”। সব মিলিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারের আগেই প্রেস মিট করে দলের সমস্ত পদ থেকে গোঘাট দু’নম্বর ব্লকের গুরুত্বপূর্ণ তিন নেতা পদত্যাগ করায় তৃণমুল অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে গেল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।