সোমা মাইতি: পঞ্চায়েত ভোটেও এবার সিবিআই। ‘এই বাংলা এই জমানায় স্থানীয় ভোট করার জন্য় উপযুক্ত কিনা, ভেবে দেখা দরকার’, বললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
ঘটনাটি ঠিক কী? পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব শেষ। নিয়মমাফিক এখন প্রার্থীদের চেক লিস্ট তৈরির কাজ চলছে। হাওড়ার উলুবেড়িয়ার বাহিরা গ্রাম পঞ্চায়েত চেক লিস্ট তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় নথি জমা দিয়েছিলেন প্রার্থীরা। অভিযোগ, তালিকা তৈরির পর নাকি দেখানো হয়, প্রার্থীদের কোনও তথ্যই জমা পড়েনি! ফলে অনেক মনোয়নয়নই বাতিল হয়ে যায়। এরপরই মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে।
নির্বাচনী নথি বিকৃতির অভিযোগে পঞ্চায়েত ভোটে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃত সিনহা। শুধু তাই নয়, ৭ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট দিতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘এটা কোনওভাবে মেনে নেওয়া যায় না। যে আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা রাজ্য সরকারি কর্মচারী। তাই রাজ্যের হাতে তদন্তভার দেওয়া সমীচীন হবে না’।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023: বিরোধীশূন্য ব্লক চাই, সোশ্য়াল মিডিয়ায় উদয়নের পোস্ট ঘিরে অস্বস্তিতে দল
অধীর চৌধুরীর মতে, ‘সিবিআই তদন্তের কথা বলেছে, এটা সঠিক’। কেন? তাঁর অভিযোগ, ‘এই বাংলায় মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য নতুন সার্জারি চলছে! সেটার তদন্ত হওয়া দরকার। সারা বাংলাজুড়ে নির্বাচনকে প্রহসনের পরিণত করার সব ব্যবস্থা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করে দিয়েছেন। এখন এই নির্বাচন প্রক্রিয়া বাঁচবে কিনা, আমি জানি না’। অধীর বলেন, আমার আরও দাবি থাকবে আদালতের কাছে যে, ভেবে দেখা দরকার এবং নাগরিক সমাজেরও ভেবে দেখা দরকার, এই বাংলা আজকের এই জমানায় স্থানীয় নির্বাচন করার জন্য উপযুক্ত কিনা’।
স্রেফ মনোনয়ন পর্বের অশান্তি নয়, পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর এখনও পর্যন্ত রাজ্যে খুন হয়ে গিয়েছে ৮ জন। কেন? এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, ‘যদি একটা পঞ্চায়েত নির্বাচনে এত রক্তপাত, হিংসা, সংঘর্ষ হয়, তাহলে এই নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এটা রাজ্যের পক্ষে লজ্জার’।