নবজোয়ারের মডেলে আগামিকাল থেকে প্রচারে তৃণমূল, ময়দানে দলের ৫৮ নেতা


প্রবীর চক্রবর্তী: পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে একাধিক সমস্যা সামনে আসছে। হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ২২ কোম্পানি বাহিনীতে হবে না। রাজ্যের ২২ জেলার জন্য পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী আনতে হবে। মনোনয়ন দাখিল নিয়ে যেসব অভিযোগ উঠছে তার সিবিআই তদন্ত হবে। এরকম পরিস্থিতির মধ্যে আগামিকাল থেকে নবজোয়ারের মডেলে প্রচারে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস। মাঠে নামবেন তৃণমূল কংগ্রেসের ৫৮ জন নেতা।

আরও পড়ুন-‘মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় ফর্ম বি জমা দেবেন কংগ্রেস প্রার্থীরা’!

তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রথমপর্বে ১৬ জেলায় প্রচারে নামবে তৃণমূল। ছোট ছোট সভা, চায়ের দোকানে জমায়েত করে চলবে প্রচার। আাগামী ২২ জুন থেকে ২৮ জুন প্রথম পর্যায়ের প্রচারে থাকছেন দলের ৫৮ জন নেতা। মোট ১৬ জেলায় প্রথম পর্বের প্রচার হবে। এর মধ্যে বেশিরভাগই দক্ষিণবঙ্গের। সেই প্রচার কীভাবে হবে তার কৌশলও ঠিক করে দিয়েছে দল। 

গত ২ মাস ধরে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ঘুরে ঘুরে তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই জনসংযোগ বিপুল সাড়া পেয়েছেন তিনি। সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা তাঁকে কাছে এসে সুবিধে অসুবিধের কথা জানিয়েছেন। নবজোয়ারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ করে জোর দিয়েছিলেন ছোট ছোট সভা, চায়ের দোকানে গিয়ে কথা বলা, মানুষের ঘরে ঢুকে তাদের কথা শোনার মতো বিষয়। ঠিক সেইভাবেই পঞ্চায়েতের প্রচারে নামছে ঘাসফুল শিবির। প্রচারের বিষয় হবে, একশো দিনের টাকা না পাওয়া, আবাস যোজনার টাকা না পাওয়া, কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা-সহ একাধিক ইস্যু। পাশাপাশি বিরোধীদের বিরুদ্ধে সুর চড়াবে তৃণমূল কংগ্রেস।

জুলাইয়ের ৮ তারিখে ভোটগ্রহণ। তার আগেই বিভিন্ন ইস্যুতে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। কোথাও বিরোধীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠছে, কোথাও হামলা, কোথাও আবার দলের কর্মীরাই উপরতলার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনছেন। কোথাও আবার দলের কর্মীরা নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ছেন। এনিয়ে বেশ বিব্রত দল। তৃণমূলের বিড়ম্বনার কারণ হয়ে হয়ে দাঁড়িয়েছেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী, হুমায়ুন কবীরের মতো নেতা।

এদিকে নির্বচান কমিশনকে কড়া কথা শুনিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইতে হবে কমিশনকে। ২০১৩ সালে যে সংখ্যাক বাহিনী ছিল তার থেকে কম বাহিনী চাইলে হবে না। কারণ এখন জেলার সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, বিচারপতি বলেন নির্বাচন কমিশনার যদি চাপ সামলাতে না পারেন তাহলে তিনি পদ ছেড়ে দিন। সে ক্ষেত্রে নতুন কমিশনার নিয়োগ করবেন রাজ্যপাল।  উল্লেখ্য,পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কয়েকদিন ধরেই বিস্তর আলোচনা হচ্ছে। গতকালই কমিশন কেন্দ্রের কাছে প্রতিটি জেলার জন্য ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে। 

আজই পঞ্চায়েত ভোটে সিবিআই তদন্তের আদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। প্রার্থীর চেক লিস্টে কারচুপি? বিকৃত করা হয়েছে নির্বাচনের নথি? এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে আজ বিচারপতি অমৃতা সিনহার মন্তব্য, ‘এটা কোনওভাবে মেনে নেওয়া যায় না। যেসব আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা রাজ্য সরকারি কর্মচারী। তাই রাজ্যের হাতে তদন্তভার দেওয়া সমীচীন হবে না’। শুধু তাই নয়, ৭ জুলাইয়ের মধ্য়ে আদালতে রিপোর্ট দিতে হবে সিবিআইকে। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব শেষ। নিয়মমাফিক এখন প্রার্থীদের চেক লিস্ট তৈরির কাজ চলছে। হাওড়ার উলুবেড়িয়ার বাহিরা গ্রাম পঞ্চায়েত চেক লিস্ট তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় নথি জমা দিয়েছিলেন প্রার্থীরা। অভিযোগ, তালিকা তৈরির পর নাকি দেখানো হয়, প্রার্থীদের কোনও তথ্যই জমা পড়েনি! ফলে অনেক মনোয়নয়নই বাতিল হয়ে যায়। এরপরই মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। 

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *