অন্যদিকে স্কুল পড়ুয়াদের বাঙ্গিটোলা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা চলছে। এদিকে সময় যত বাড়তে থাকে, তত মালদা জেলার বিভিন্ন ব্লক থেকে বাজ পড়ে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে। বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে সাত জনের। এদের মধ্যে তিনজন নাবালক, নাবালিকা সহ অত্যন্ত পাঁচজন ব্যক্তি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাজ পড়ে যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে পুরাতন মালদা ব্লকের কৃষ্ণ চৌধুরী বয়স ৬৫ বছর, কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লকের উন্মে কুলসুম (বয়স ৬ বছর) নামে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। বজ্রপাতের কারণে মৃত্যু হয়েছে কালিয়াচক তিন নম্বর ব্লকের দেবশ্রী মণ্ডল (বয়স ২৭ বছর) এক বাসিন্দারা।
কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকের কমলপুর বাবলা এলাকার পাঠানপাড়ায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে নজরুল শেখ বয়স ৩৩ আম পাড়তে গিয়ে বজ্রঘাতে শিকার হন তিনি। কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকের সুমিত মন্ডল বয়স ১০ বছর, কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকের রবি জুন বিবি ৫৪ বছর, ও কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকের ইশা সরকার আট বছর বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে। বাজ পড়ে মৃত্যুর ঘটনায় এলা জুড়ে শোকের ছায়া পড়েছে।
দীর্ঘ দাবদাহের পর বর্ষা ঢুকতে দেরি করে বঙ্গে। তবে উত্তরবঙ্গে গত সপ্তাহেই বর্ষা প্রবেশ করে যায়। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার সহ উত্তরের জেলাগুলোতে টানা বৃষ্টিপাত সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া, মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া বজায় থাকে।
মালদা জেলার একাধিক জায়গায় এদিন ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্র বিদ্যুৎ পাতের সঙ্গে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। তবে বজ্রপাতের কারণে এত মৃত্যুর জন্য সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়।