তিনি ক্ষমা না চাওয়ায় এই ক্ষোভ আরও বাড়ে। ক্ষমা চাওয়া তো দূর, তিনি আরও ব্যঙ্গ করে কথা বলেন”। শান্তনু ঠাকুর আরও বলেন, “এই ধরনের কথা বার্তা একজন জনপ্রতিনিধি তথা মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে শোনা শোভা পায় না”। এছাড়াও তিনি বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে জুতো মেরে গোরু দান করতে এসেছিলেন। ব্যর্থ হয়ে ফিরে গিয়েছেন”। উল্লেখ্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নব জোয়ার কর্মসূচি নিয়ে ঠাকুরবাড়িতে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শান্তনু ঠাকুর।
সেই মামলায় ‘সিট’ গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। এছাড়াও এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে শান্তনু বাবু দাবি করেন, “ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ির মন্দির দেবত্ব সম্পত্তি দান এবং আমাকে সেবায়েত করে গিয়েছেন বড়মা বীণাপাণি ঠাকুর”। পাশাপাশি তিনি হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে ‘সিট’-এর তদন্তের উপরে সন্দেহও প্রকাশ করেন। বলেন, “যেখানে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেখানে রাজ্য পুলিশ দিয়ে কিভাবে তদন্ত করা সম্ভব”! পাশাপাশি এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি প্রয়াত কপিল কৃষ্ণ ঠাকুর ও প্রয়াত বড়মা বীণাপাণি ঠাকুরের মৃত্যুর কারণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
এই মৃত্যু নিয়ে রহস্য আছে বলে জানান শান্তনু ঠাকুর। তিনি বলেন, “এর পিছনে বড় অভিসন্ধি আছে। আমরা সব ঘটনা সামনে আনব। এগুলো সব সামনে আনা দরকার। কোন কোন রাজনৈতিক নেতাদের হাত আছে, তাও সাধারণ মানুষের জানা দরকার”। এদিকে, শান্তনু ঠাকুরের সাংবাদিক বৈঠক নিয়ে মমতাবালা ঠাকুর জানিয়েছেন, “এখন কিছু নয়। হাইকোর্টে যা জানানোর জানাবো”। মতুয়া মহাসংঘের রেজিস্ট্রেশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি দলিল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে যা বলার কোর্টে বলব”।
কপিল কৃষ্ণ ঠাকুর ও বড়মার মৃত্যু রহস্য নিয়ে মমতা ঠাকুর জানিয়েছেন, “আমি তো অনেক আগেই CBI তদন্ত চেয়েছি। তদন্ত করুক সত্যটা সামনে আসুক”। সিট গঠন নিয়ে তিনি জানিয়েছেন, “আইনকে আমরা সম্মান করি। আসল সত্যটা সামনে আসুক। সবাই জানুক”।