WB Panchayat Election : প্রাথমিক শিক্ষক-প্যারা টিচার-মেডিক্যাল অফিসারদের ভোটের কাজ থেকে অব্যাহতি, সিদ্ধান্ত – west bengal state election commission ordered not to involve primary teachers and medical officers from duty election23


৮ জুলাই গোটা রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যেই মনোনয়ন জমা, স্ক্রুটিনি ও প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে প্রশাসনিক স্তরে প্রস্তুতি তুঙ্গে। নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতির মধ্যে ভোটকর্মী সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

২০ জুন রাজ্য নির্বাচনের অতিরিক্ত সচিব রাজ্যের ২২টি জেলার জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচনী আধিকারিকের উদ্দেশে নির্দেশিকা জারি করেছেন। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী প্যারা টিচার বা প্রাথমিক শিক্ষক ও মেডিক্যাল অফিসারদের ভোটগ্রহণের কাজে ব্যবহার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

WB Panchayat Election : সুপ্রিম কোর্ট ফেরানোয় বন্ধ রাস্তা, জেলা প্রতি ১ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রের দ্বারস্থ কমিশন
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নজরে এসেছে বিভিন্ন জেলায় প্যারা টিচার বা প্রাথমিক শিক্ষকদের ফোর্থ পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে। এমনকী মেডিক্যাল অফিসারদের ভোটের কাজে নিযুক্ত করা হচ্ছে। কমিশনের নির্দেশ প্যারা টিচার বা প্রাথমিক শিক্ষকদের ফোর্থ পোলিং অফিসার পদে নিয়োগ করা যাবে না। এবং যেখানে যেখানে মেডিক্যাল অফিসারদের ভোটের কাজে নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের সেই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে হবে।

Central Force In Panchayat Election : পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ, সুপ্রিম কোর্টে নবান্ন-কমিশন
কী কারণে কমিশনের এই সিদ্ধান্ত, সেই নিয়ে এখনও অবধি স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। প্রাথমিক শিক্ষক ও মেডিক্যাল অফিসারদের ভোটের কাজে নিয়োগ করা হতে পারে সেই নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছিল। সেই কারণের নির্বাচন কমিশনের তরফে স্পষ্টভাবে নির্দেশিকা জারি করা হয়ে থাকতে পারে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সাধারণভাবে মেডিক্যাল অফিসারদের ভোটের কাজে নিয়োগ করা হয় না।

উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। কলকাতা হাইকোর্টের পর মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পঞ্চায়েত ভোটে সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা স্পেশাল লিভ পিটিশন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে কোনওরকম হস্তক্ষেপ করতে চায়নি শীর্ষ আদালত। রাজ্যকে ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট বলেন, ‘নির্বাচন হওয়া মানেই সন্ত্রাসের লাইসেন্স দেওয়া নয়।’

WB Panchayat Election : অতিরিক্ত নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ! রাজীবের সহযোগীর দায়িত্বে দুঁদে IAS
শীর্ষ আদালতের নির্দেশ সামনে আসার পর এক প্রকার বাধ্য হয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি দেয় কমিশন। রাজ্য নির্বাচনের কমিশনের তরফে প্রত্যেক জেলায় এক কোম্পানি কেন্দ্র বাহিনী চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। যেখানে মনোনয়ন পর্ব বিভিন্ন জেলায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, সেখানে প্রত্যেক জেলায় এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে কী ভাবে পঞ্চায়েত ভোট করা সম্ভব, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *