West Bengal Government : সিজার কমিয়ে প্রসূতি মৃত্যু রাশে তৎপর রাজ্য – state government active in reducing cesarean delivery and maternal mortality


এই সময়: মাঝে প্রসূতি মৃত্যুর ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত উন্নতি তো দূরের কথা, সামান্য হলেও অবনতি হয়েছিল বাংলায়। সে পরিস্থিতি শুধরেছে ঠিকই। তবে ফের যাতে প্রসূতি মৃত্যু লাগামছাড়া না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্যকর্তাদের মতে, অপ্রয়োজনে সিজ়ার করার যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা রাজ্যে দেখা যাচ্ছে, তা-ও অনেকাংশে দায়ী প্রসূতি মৃত্যু বেড়ে যাওয়ার নেপথ্যে।

এ ব্যাপারে শহরের থেকে খুব একটা পিছিয়ে নেই গ্রামাঞ্চলও। তাই প্রসূতিদের মৃত্যু সংক্রান্ত ময়নাতদন্তের জন্য শুরু হয়েছে ম্যাটারনাল ডেথ অডিট। জুনের গোড়া থেকেই বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে সিজ়ার ও প্রসব পরবর্তী শুশ্রূষার বিষয়টি সরেজমিনে খতিয়ে দেখছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।

Free Cancer Treatment : বিনামূল্যে ক্যান্সারের চিকিৎসা! সপ্তাহে ৬ দিন তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজে বিশেষ পরিষেবা
সরকারির পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ২৫টি বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোম ও প্রসূতি সদনে ভিজিট করা হয়েছে খাস কলকাতায়। পরিদর্শনে গিয়ে স্বাস্থ্যকর্তাদের চোখে পড়েছে বেশ কিছু খামতিও। তাই অপ্রয়োজনে সিজ়ারের সংখ্যা কমানো এবং প্রসূতির সিজার পরবর্তী শুশ্রূষা নিয়ে গুচ্ছ পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে হাসপাতালগুলিকে।

রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, “অডিট মানে কিন্তু শাস্তি নয়। সিজ়ারের হার কমিয়ে সুস্থ মা ও শিশুকে বাড়ি পাঠানোটাই মূল লক্ষ্য। সেই মর্মেই সতর্ক করা হচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে। সরকারি হাসপাতালেও যাতে খুব দরকার না-পড়লে সিজ়ার করা না-হয়, তা-ও মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”

Trending News: তিন বাচ্চার পর চতুর্থবারও সিজারের মাধ্যমে শিশুর জন্ম, সরকারি হাসপাতালে সফল সাংঘাতিক ঝুঁকির অস্ত্রোপচার
মাস তিনেক আগে স্বাস্থ্যভবনে আয়োজিত একটি বৈঠকে সিজ়ার নিয়ে সতর্ক করে নির্দেশ দেওয়া হয় সব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে। এ নিয়ে চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও হয় মে পর্যন্ত। সেই পর্ব মিটে যাওয়ার পর জুন থেকেই চালু হয় কড়াকড়ি। এখন প্রসব সংক্রান্ত রোজকার তথ্য খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্যভবন।

সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতাল-নার্সিংহোমগুলিকেও এখন প্রতিদিন মাতৃ-মা পোর্টালে প্রসব সংক্রান্ত খুঁটিনাটি তথ্য আপলোড করতে হয়। তবে সরকারকে ভাবাচ্ছে, গ্রামাঞ্চলে সিজ়ারের সংখ্যা বৃদ্ধি।

Free Blood Test: ২ টাকায় ৩৭ রকমের রক্ত পরীক্ষা, সরকারি হাসপাতালের আউটডোরে বড় উদ্যোগ
এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, “সিজ়ার বরাবরই বেসরকারি ক্ষেত্রে বেশি হয়। আর এখন গ্রামাঞ্চলে একদিকে যেমন বেসরকারি হাসপাতালের সংখ্যা বেড়েছে, অন্য দিকে তেমনই আবার সরকারি হাসপাতালে বেড়েছে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ এবং অ্যানাস্থেটিস্টের সংখ্যা।”

সারা রাজ্যে ২০১৯-২০ ৪৩.৫% ২৮.৬%, ২০১৫-১৬ ৩৬.৬% ১৮.৯%

সরকারি পরিষেবা ২০১৯-২০ ৩১.৭% ২০.৩%, ২০১৫-১৬ ২৮.১% ১৫.৩%

বেসরকারি পরিষেবা ২০১৯-২০ ৮০.২% ৮৪.৪%, ২০১৫-১৬ ৭৪.৭% ৬৮.১%

* তথ্যসূত্র: ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে-৫



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *