এর আগে শাসন পঞ্চায়েতেও একই হাল হয়েছিল বিরোধীদের। সেখানে বিরোধী শূন্যই বলা যায়। এবার কীর্তিপুর ১। বারাসত ২ নম্বর ব্লকের শাসনের কীর্তিপুর ১ পঞ্চায়েতে ২০টি গ্রাম সভার মধ্যে ১৩ টি তে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, যাকে বলে ওয়াকওভার এবং তিনটে পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে দু’টিতেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
সেই উপলক্ষ্যে ও উন্মাদনায় খড়িবাড়ি বাজার থেকে কৃষ্ণমাটি মোড় পর্যন্ত বিজয় মিছিল করলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মান্নান আলি এবং ৩৮ নম্বর জেলা পরিষদের তৃণমূল প্রার্থী এ কে এম ফারহাদ ও সমস্ত বিজয়ী সমস্ত সদস্য সদস্যাগণ। সেই বিজয় মিছিলে দেখা গেল সবুজ আবির মেখে, আতসবাজি ফাটিয়ে, বক্সে ‘খেলা হবে’ গান বাজতে বাজতে এলাকা ঘুরতে।
প্রার্থীদের গলায় মালা পরিয়ে ৮ থেকে ৮০ সকলেই এই বিজয় মিছিলে অংশ নেন। মিছিল থেকে স্লোগান ওঠে ‘সবুজ সাথী জিততে থাক, বামফ্রন্ট নিপাত যাক’। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মান্নান আলি এই বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, “খাম, বাম, রাম কে আজ মানুষ টাটা বাই বাই করে দিয়েছেন।
এই জয় মানুষের আবেগ মানুষের ভালোবাসার জয়। এখানে বিরোধীরা কোনও প্রার্থীই দিতে পারেনি”। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নই প্রধান অস্ত্র এই জয়ের। যদিও স্থানীয় CPIM নেতৃত্ব বলছেন উলটো কথা। শাসনের এক CPIM নেতা জানা, “শাসন এলাকায় ধীরে ধীরে আবার আগের কর্তৃত্ব ফিরে পাচ্ছে বামেরা।
তাই তৃণমূল বিচলিত। এই কারণেই ভয় দেখিয়ে, চাপ দিয়ে আমাদের প্রার্থীদের মনোনয়ন তুলে নিতে বাধ্য করা হয়েছে। আর সেই কারণেই তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছে। কিন্তু সত্য বেশিদিন চাপা থাকে না। মানুষ সব দেখছেন, বুঝছেন। পরের নির্বাচনগুলিতে জনতা এর যোগ্য জবাব দেবেন”।