ভোটকর্মীদের নিরাপত্তায় চাই কেন্দ্রীয় বাহিনী, রবিবার শহরের রাস্তায় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ


অয়ন ঘোষাল: পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বেই রাজনৈতিক সংঘর্ষে রাজ্যে প্রাণ গিয়েছে বেশ কয়েকজনের। বিরোধীদের অভিযোগ তাদের মনোনয়ন দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এরকম এক পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে ভোটের ডিউটিতে যেতে অস্বীকার করেছিলেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। ভোটের মুখে এবার ফের সেই দাবি তুলতে রাস্তায় নামছেন আন্দোলনকারী সরকারী কর্মীরা।

আরও পড়ুন-পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ, তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে ৭০ পরিবার

ডিএর দাবিকে সরকারী কর্মচারিদের আন্দোলন ১৪৭ দিনে পড়ল। সরকারের তরফে বড় কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। এর মধ্যেই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভোটের ডিউটিতে যেতেই হবে। অথচ রাজ্যের যা পরিস্থিতি তাতে তারা ভোটের ডিউটিতে যেতে ভয় পাচ্ছেন। একথা জানিয়েছেনও তাঁরা। এবার নিরাপত্তার দাবিতে রবিবার কলকাতায় মহামিছিলের ডাক দিল আন্দোলনকারীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তাদের দাবি সরকারি কর্মচারীদের নিরাপত্তায় দিতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের মুখপাত্র জিয়ারুল হক বলেন, হাইকোর্ট তার নির্দেশিকায় জানিয়েছে, স্থায়ী নন, এমন সরকারি কর্মীদের সরাসরি ভোটের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। অথচ ইতিমধ্যেই রাজ্যের জেলায় জেলায় প্রায় ৮০ শতাংশ অস্থায়ী বা ক্যাজুয়াল সরকারি কর্মীর কাছে ভোটের ট্রেনিং শিবিরে যোগ দেওয়ার অর্ডার এসে পৌছে গেছে। এর প্রতিবাদেও খুব তাড়াতাড়ি কলকাতা হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করতে চলেছে যৌথ মঞ্চ।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় বাহিনী নেওয়া নিয়েও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আদালতের টালাবাহানা চলছিল। আদালতের নির্দেশ ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই ভোট করা হবে। সেই নির্দেশের পর রাজ্য নির্বাচন কমিশন মোট ২২ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে বসে।  এনিয়ে পাল্টা মামলা হয়। যেখানে বলা হয় সত্তর হাজারের মতো বুঝে মাত্র ২২ কোম্পানি বাহিনী দিয়ে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে? এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিয়েছে, পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই ভোট করাতে হবে। বাহিনীর সংখ্য়া ২০১৩ সালের বেশি হয়। 

যৌথ মঞ্চের দাবি, ২২ জেলার জন্য মাত্র ২২ কোম্পানি বাহিনী। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ পর্যবেক্ষক ও কমিশন কর্তাদের জন্য রিজার্ভ। বাকি রইল মাত্র ৭৫ শতাংশ। অর্থাৎ একটা গোটা জেলায় সরাসরি বুথের ডিউটিতে মাত্র ৭৫ জন কেন্দ্রীয় আধাসেনা? অথচ প্রতি বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে ন্যূনতম ৪ জন করে আধাসেনা ছাড়া নির্বিঘ্নে ভোট হওয়া অসম্ভব। বুথের নিরাপত্তার সঙ্গে তাদের জীবনের নিরাপত্তাও জড়িয়ে আছে। তাই বাহিনীর দাবিতেই রবিবার হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ২টি মিছিল শহিদ মিনারে এসে মহামিছিলের চেহারা নেবে বলে যৌথ মঞ্চের দাবি।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *