ভোটারদের কী বলছেন?
কী ভাবে চলছে নির্বাচনী প্রচার, কী এজেন্ডা নিয়ে যাচ্ছেন ভোটারদের কাছে, সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে এই সময় ডিজিটালের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলেন মৌসুমী সরকার। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামেদের সম্ভাবনা ঠিক কতটা? উত্তরে মৌসুমী বলেন, ‘জায়গা তো অবশ্যই রয়েছে, জনগণই বলবে। আশাকরি গ্রাম পঞ্চায়েতে জনগণ এবার দেখিয়ে দেবেন, বুঝিয়ে দেবেন আসলে তাঁরা কী চান। গতবার পঞ্চায়েত ভোটে আমার নিজের চোখে দেখা যে শাসকদল কী করেছে। এলাকার বিভিন্ন গ্রামে দেখেছি, নিজের চোখে আমার গ্রামে দেখেছি। আমি যে এলাকা থেকে উঠে আসছি সেখানে মানুষ কী চান প্রত্যেকবারেই তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু গতবার জোরজুলুম করেই শাসকদল জিতেছে। তবে আশা করা যায় যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হয়, সুস্থভাবে ভোট হয় তাহলে আমাদের এলাকায় জয় হবে।’
এবারের প্রচারে কী কী এজেন্ডা নিয়ে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন, সেই বিষয়েও কোনওরকম রাখঢাক না করেই মুখ খুলেছেন এই বাম প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘আমার একটাই এজেন্ডা শিক্ষা ও সংস্কৃতি। কারণ আমরা যে এলাকা থেকে উঠে আসছি সেখানে ছোট থেকে সংস্কৃতিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে দাঁড়িয়ে আমাদের একটাই এজেন্ডা, শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে বিশেষ করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।’ এই প্রসঙ্গে মৈসুমী আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যেই আমরা আমাদের এলাকায় যে সমস্ত বয়স্ক মানুষ রয়েছেন তাঁদেরকে নিজেদের মতো করে বই দিয়ে শিক্ষিত ও সচেতন করার কাজ শুরু করেছি। কারণ শিশুরা স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন, কিন্তু বড়রা তা পাচ্ছেন না।’
জিতলে কী করবেন?
এখানেই শেষ নয়, জিতলে এলাকার মানুষের জন্য কী করবেন, তাও জানিয়েছেন মৌসুমী সরকার। তিনি বলেন, ‘বড় বড় কথা বলতে চাইছি না, তবে জিতলে সরকারের যে সুযোগসুবিধা গুলি আছে সেগুলি আমার যে পার্টগুলি আছে সেখানে সমানভাগে ভাগ করে দিতে চাই।’ একইসঙ্গে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজের পার্টের মেম্বারদের সঙ্গে কথা বলা এবং কীভাবে সমস্ত পরিষেবা প্রদান চলছে, সেগুলি দেখাও যে তাঁর কাজের মধ্যে থাকবে তাও জানিয়ে দেন এই বাম প্রার্থী।