Darjeeling Panchayat Election : ২৩ বছর পর নির্বাচন! পঞ্চায়েতের পর দিন বদলাবে? আশায় কার্শিয়াংয়ের সুকনা গ্রামবাসী – sukna villagers in kurseong block expecting development after long time for panchayat election23


Darjeeling Panchayat Election : একদিকে মহানন্দা অভয়ারণ্য, অন্য দিকে বিস্তৃত চা বাগানের মাঝ দিয়ে রাস্তা চলে গিয়েছে গ্রামের ভিতর। আর পাঁচটা পাহাড়ি গ্রামের এটিও ছবির মতো সুন্দর, সতেজ জনবসতিপূর্ণ এলাকা। তবে সতেজতা শুধু বাইরেটুকুই, ভেতরটা অবহেলিত, বঞ্চিত। সামান্য পরিষেবাটুকুও অমিল গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে। কার্শিয়াং ব্লকের সুকনা গ্রাম পিছিয়ে রয়েছে প্রায় ২৩ বছর।

Panchayat Election 2023: এক ছাদের নীচে বাস, এক হাঁড়িতেই ভাত! পঞ্চায়েত আসতেই যুযুধান দুই দলের প্রার্থী দুই জা
বহু বছর বাদে দি স্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন হচ্ছে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায়। দার্জিলিং জেলার কার্শিয়াং ব্লকের সুকনা, গয়াবাড়ি, সেন্টমেরি, মহানদী ও সিটং গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে নির্বাচন হচ্ছে এবার। এই সুকনা বন বাংলোতে গিয়ে ২০১১ সালে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় এই গ্রামেও পরিদর্শন করেন তিনি। উন্নয়নের আশ্বাসও দেন। তবে ওইটুকুই। পঞ্চায়েত নির্বাচন বন্ধ থাকায় জন পরিষেবা ব্রাত্য থেকে গিয়েছে এই গ্রামে।

WB Panchayat Nirbachan Nomination: ভোট দেওয়ার লোক নেই দিলীপেরই! অভিষেক আশ্বাস সত্ত্বেও ঝাড়গ্রামে বিরোধী শূন্য আসনের ছড়াছড়ি
স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, এই এলাকায় বন দফতর থেকে পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা থাকলেও এখন আর তা নেই। বাধ্য হয়ে গ্রামবাসীরা পানীয় জলের জন্য ট্যাঙ্কের ব্যবস্থা করেন। বহু বছর আগে দার্জিলিং হিল কাউন্সিল থেকে আলু, ভুট্টা চাষের জন্য সাহায্য করা হতো। এখন সেটাও নেই। কর্ম সংস্থানের সুযোগ হারিয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা। ১০০ দিনের কাজের যেটুকু কাজের সুযোগ মেলে, তাতেও সম্পূর্ণ পেইমেন্ট এখনও অমিল। চূড়ান্ত দুর্দশার মধ্যে রয়েছেন প্রত্যেকটি পরিবারই এমনটাই জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

West Bengal Panchayat Election : প্রার্থীকে বাড়ি এসে হুমকি, দুষ্কৃতীদের দৌড় করালেন স্বয়ং BJP রাজ্য সভাপতি
পাশাপাশি, নিকটবর্তী অভয়ারণ্য থাকায় মাঝেমধ্যে হাতি, চিতা বাঘের আক্রমণ হয়। প্রাণের ঝুঁকি তো রয়েছেই, পাশাপশি ফসল নষ্ট হয়, হাঁস-মুরগি মারা যায় হাতি-চিতার হানায়। বন বিভাগ সেভাবে কোনও ব্যবস্থা নেয়না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। সব মিলিয়ে নেই রাজ্য হয়ে পড়ে রয়েছে ওই এলাকা।

Ajoy Edwards : ৫ লাখের অত্যাধুনিক মেশিন, দার্জিলিং হাসপাতালের পাশে হামরো পার্টি

তবে বহু বছর বাদে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার ফলে কিছুটা আশার মেঘ দেখতে পাচ্ছেন বাসিন্দারা। প্রায় ২৫০ টি ঘরের প্রায় সাতশো বাসিন্দা এবার কিছু পরিষেবা পাওয়ার দিন গুনছেন। জানা গিয়েছে, ওই গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বিজিপিএম, তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছিল। পরে এই আসন থেকে বিজিপিএম প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যান। এবার কি কিছুটা উন্নত হবে এই অঞ্চল? এত বছরের উন্নয়নের ঘাটতি কি মিটবে? উত্তর এখনও অমিল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *