কিন্তু, রাতারাতি বদলে গিয়েছে দার্জিলিং। সৌজন্যে বর্ষা। চলতি বছর কেরালাতে অপেক্ষাকৃত দেরিতে প্রবেশ করেছে বর্ষা। স্বাভাবিকভাবেই উত্তরবঙ্গেও মৌসুমী বায়ু প্রবেশে বিলম্ব হয়েছে। যদিও বর্ষার সৌজন্যে বদলে গিয়েছে পাহাড়ের চিত্র। দার্জিলিঙে ভারী বৃষ্টিপাত চলছে। আগামী কয়েকদিন দার্জিলিঙে রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা, জানা যাচ্ছে এমনটাই।
দার্জিলিং যাওয়ার পরিকল্পনা? আনন্দের প্ল্যান মাটি করে দিতে পারে বৃষ্টিপাত?
দার্জিলিং মানেই টয়ট্রেন, মেঘে ঢাকা পাহাড় সঙ্গে ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপ। শীতের কামড় খেতে খেতে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার হাতছানি উপেক্ষা করা বড় দায়। সপ্তাহান্তে বাক্স প্যাঁটরা গুটিয়ে অনেকেই পাহাড়ের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন।
কিন্তু, যাবতীয় পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে পারে বৃষ্টিপাত? আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হচ্ছে, শুক্রবার পর্যন্ত দার্জিলিঙে হতে চলেছে ভারী বৃষ্টি। পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়িতেও চলছে টানা বৃষ্টিপাত। আগামী ৪৮ ঘণ্টা উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।
এদিকে টানা বৃষ্টির জন্য মহানন্দা, তিস্তার মতো নদীগুলিতে বাড়ছে জলস্তর। সেক্ষেত্রে এই নদীগুলির জলের স্তর বিপদসীমা ছুঁতে পারে, এই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্বাভাবিকভাবেই এই টানা বৃষ্টি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। দার্জিলিঙের বৃষ্টি পর্যটকদের বেড়ানোর প্ল্যানে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। এদিকে উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত কার্যত মাথায় হাত ফেলেছে কৃষকদের। পাশাপাশি দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের মতো জেলাগুলির কিছু কিছু জায়গায় ধসও দেখা দিয়েছে।ফলে স্বাভাবিকভাবেই গরমের হাত থেকে বাঁচার জন্য যে বৃষ্টি চাইছিলেন উত্তরবঙ্গের বাসিন্দারা তারা আপাতত চাইছেন বৃষ্টি বন্ধ হোক।
উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও হতে পারে বৃষ্টিপাত। উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া এই জেলাগুলিতে রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, চলতি বছর স্বাভাবিক হতে চলেছে বর্ষা। অ্যাল নিনো নিয়ে বাড়ছিল উদ্বেগ। কিন্তু, আবহাওয়াবিদরা সেই আশঙ্কা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, এই বছর বর্ষা মূলত স্বাভাবিক হবে। স্বাভাবিকভাবেই কৃষিকাজে সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।