রাতেই ঘটনাস্থলে যায় চন্দ্রকোণা থানার পুলিশ। CPIM প্রার্থীর বাপের বাড়ির সামনে রাতের অন্ধকারে হুমকি চিঠি দিয়ে বোম ফাটানোর অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল। জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা দু’নম্বর ব্লকের কুঁয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধাবল্লভপুর সংসদে CPIM প্রার্থী হয়েছেন পম্পা দাস।
CPIM প্রার্থী পম্পা দাস কর্মসূত্রে চন্দ্রকোণা পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের মাধবপুরে বাপের বাড়িতে থাকেন। বুধবার রাতে পম্পার বাপের বাড়িতে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় হঠাৎই শোনা যায় বিকট বোমা ফাটার আওয়াজ। তারপরে পাওয়া যায় হুমকি চিঠি, এমনই দাবি পম্পা সহ এলাকার মানুষজনের।
খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় চন্দ্রকোণা থানার পুলিশ। যদিও পম্পা দাবি করে বলেন, “CPIM প্রার্থী হয়ে দাঁড়ানোর জন্যই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। হুমকি চিঠির ঘটনায় আতঙ্কিত আমি। সেই সঙ্গে আমার পরিবারের সদস্যরাও। চিঠিতে আমার মা’কে উদ্দেশ্য করে লেখা রয়েছে, ‘চায়না, তোমার মেয়েকে সাবধান করে দাও, যে জায়গাটায় গিয়েছে, এই জায়গা থেকে সরে আসতে বল কালকের মধ্যে। ভবিষ্যতে তোমার ভীষণ ক্ষতি হতে পারে। তোমার নাতি ও মেয়ের কোনও ক্ষতি হোক আমরা চাই না। তোমাদের চারজনের মধ্যে একজন জীবন হারাক। যে ব্যবসা করে খাচ্ছ, তেমন ব্যবসা করে খাও, সুখে থাকবে। যে রাস্তায় গিয়েছে ওই রাস্তা থেকে ঘুরে আসতে বল, নইলে আমাদের থেকে কেউ খারাপ হবে না।”
যদিও সাদা কাগজে লেখা এই হুমকিতে কোনও নাম বা কাদের তরফে এই চিঠি সেই সম্পর্কে কিছু উল্লেখ নেই। ঘটনায় আতঙ্কিত প্রতিবেশীরাও। তারাও চাইছেন এমন ঘটনা যেন পুনরায় না ঘটে তার জন্য পুলিশ ব্যবস্থা নিক। এই ঘটনায় শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন CPIM নেতৃত্ব। CPIM-এর দাবি, রাতের অন্ধকারে বোমা ফাটানো হয়েছিল। এমনকি চন্দ্রকোণায় বোমা মজুদ করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তাঁরা।
পুরো ঘটনায় শাসকদল তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠলেও শাসকদলের তরফে ঘটনা ভিত্তিহীন ও মিথ্যা অভিযোগ বলে জানানো হয়েছে। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বলেছেন, “এই ঘটনা সম্পর্কে জানা নেই। এসব মিথ্যে অভিযোগ। বাস্তবে এর কোনও ভিত্তি নেই।”
এই বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি এখনও। তবে CPIM-এর তরফে অভিযোগ জানানো হবে বলে জানানো হয়েছে। ঘটনার মধ্যে শুধুই রাজনৈতিক ইন্ধন নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।