Panchayat Election 2023 : পঞ্চায়েত আসনে প্রার্থীই নেই রায়নায়, নেপথ্যে গোষ্ঠীকোন্দল – no candidate for panchayat election seat in raina election23


এই সময়, বর্ধমান: পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পর্ব মিটেছে। শুরু হয়েছে প্রচার। তার আগেই পঞ্চায়েতের একটি আসনে উপনির্বাচনের পরিস্থিতি তৈরি হল। গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই আসনে কোনও দলই প্রার্থী দেয়নি। রাজ্যে নজিরবিহীন এই ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের রায়না ২ ব্লকের গোতান পঞ্চায়েতের ২৭১ নম্বর বুথের ৭ নম্বর সংসদে।

একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ভাতার ব্লকের বড়বেলুন ১ পঞ্চায়েতে। তবে সেখানে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরে তৃণমূলপ্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় উপনির্বাচন হবে। কিন্তু গোতানের বিষয়টির ক্ষেত্রে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে।

WB Panchayat Election Nomination: মনোনয়নের শেষ দিনে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, হুঁশিয়ারি সত্ত্বে গোঁজ প্রার্থী চন্দ্রকোণায়
রায়না ২ ব্লকের বিডিও অনিশা যশ বলেন, “গোতান পঞ্চায়েতের একটি আসনে এক জন প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছিলেন। শেষ দিনে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করলে নির্বাচন কমিশনের নিয়মে সেখানে উপনির্বাচন হবে। তবে সেটা পঞ্চায়েত নির্বাচন মেটার পর।”

রায়নার বিধায়ক শম্পা ধাড়া অনুগামীদের সঙ্গে ব্লক সভাপতি অসীম পাল অনুগামীদের বিবাদে এই ব্লকে মনোনয়ন জমা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। অসীমের দাবি, দলের নির্দেশেই তিনি ব্লকের ৭টি পঞ্চায়েতের ১৪০টি আসনে প্রার্থীদের দাঁড় করিয়েছিলেন। যদিও পরে ১৪০ জনের মধ্যে ৬৮ জন প্রার্থীকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন জেলা নেতৃত্ব।

Panchayat Election 2023 : বাঁকুড়ায় চাপ বাড়ছে ঘাসফুল শিবিরের, মনোনয়নে জেলা পরিষদে এগিয়ে BJP
ওই ৬৮ জন বিধায়ক অনুগামী বলে অভিযোগ। এই নিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়। ব্লকের একাধিক পঞ্চায়েতের কিছু আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন প্রার্থীরা। শেষ মুহূর্তে মনোনয়ন তুলে নেন গোতান পঞ্চায়েতের ২৭১ নম্বর আসনের ৭ নম্বর সংসদের তৃণমূল প্রাথী সালমা খাতুন।

গোতানের জাসাপুরের বাসিন্দা সালমার দাবি, দলের নির্দেশেই প্রার্থীপদ তুলে নিয়েছেন তিনি। কিন্ত ঘটনা হল, ওই সংসদে তিনিই ছিলেন শাসক-বিরোধীদের মধ্যে মনোনয়ন দাখিল করা একমাত্র প্রার্থী। ফলে তিনি মনোনয়ন তুলে নেওয়ায় এই আসনে উপনির্বাচন হবে।

Panchayat Election 2023 : জমার পরে প্রত্যাহার, মনোনয়ন ঘিরে উত্তাপ
কী বলছেন ব্লক সভাপতি অসীম পাল? বলেন, “ব্লকের পরিস্থিতি তো এলাকার মানুষ জানেন। আমি সবাইকে দলের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ জানিয়ে দিই। কিন্তু কেউ তুলেছেন, কেউ আমার কথা শোনেননি। তাঁদেরও বক্তব্য থাকতে পারে। কিন্তু এই পরিস্থিতির জন্য বহু আসনে বিরোধীরাই সুবিধা পেয়ে যেতে পারে।”

গোতানের পরিস্থিতি কাম্য ছিল না বলে জানান তিনি। প্রতিক্রিয়ায় শম্পা বলেন, “ব্লক ও যুব সভাপতির নির্দেশেই আমাদের দলের মনোনীত প্রার্থী মনোনয়নপত্র তুলে নিতে বাধ্য হয়েছেন। দুই সভাপতিও তাঁদের প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *