স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় হাসপাতালে ভর্তি কোনও রোগীর মৃত্যু হলে মৃতদেহ বহনের জন্য পরিবারের কাছ থেকে কোনও টাকা না নেওয়ার জন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পুর এলাকা অথবা ১৫ কিলোমিটার দূরত্ব অবধি দেহ পরিবহণের জন্য কোনও চার্জ না নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় না থাকা যেসব রোগীদের পরিবারের আর্থিক সামর্থ কম, তাদের ক্ষেত্রে দেহ পরিবহণের ফি মকুব করার আবেদন করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চিঠির ভিত্তিতে হওয়া বৈঠকে বেসরকারি হাসপাতালগুলির কাছে কমিশনের তরফে এই অনুরোধ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, বেশিরভাগ বেসরকারি হাসপাতালে মৃতদেহ সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই। সেই কারণে দেহের পচন প্রতিরোধে বেসরকারি হাসপাতালগুলির কাছে এই অনুরোধ করা হয়েছে।
চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় একটি ইংরেজি দৈনিককে এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে কথা বলেছি। যেসব বড় হাসপাতালে মৃতদেহ সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে, তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নিকটবর্তী ছোটো হাসপাতালগুলিকে এই বিষয়ে সাহায্য করবে।’ তিনি জানিয়েছেন, অনেক বেসরকারি হাসপাতাল কমিশনকে জানিয়েছে, মৃত রোগীর দেহ নির্দিষ্ট সময় অবধি সংরক্ষণের জন্য পরিবারের থেকে কোনও চার্জ নেওয়া হয় না।
স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, দেহ সরক্ষণের জন্য অলাভ-না-ক্ষতি ভিত্তিতে খরচ নির্ধারণের জন্য একটি কমিটি তৈরি করা হবে। অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মৃতদেহ সংরক্ষণের জন্য যদি ছোটো নার্সিং হোম বা হাসপাতালগুলি বড় হাসপাতালের সাহায্য নেয়, তবে কমিটি নির্ধারিত রেট মেনে চলা হবে। সেক্ষেত্রের মৃতের পরিবার টাকা দিতে অপারগ হলে, ছোটো হাসপাতালের তরফে সেই ফি মিটিয়ে দেওয়া হবে।’
বৈঠক চলাকালীন জেলার বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতালের তরফে কমিশনের কাছে প্রশ্ন করা হয়। জানতে চাওয়া হয়, মৃতদেহ সংরক্ষণের জন্য তাঁর সংশ্লিষ্ট জেলার সরকারি হাসপাতাল ব্যবহার করতে পারবেন কিনা। স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, এই বিষয়ে তিনি রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে দেখবেন। বৈঠকে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।