সংবিধান বলে, রাজ্য সরকারের সুপারিশে রাজ্যপাল রাজ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করবেন। তাই করা হয়েছিল। এখন উনি সেটা ফেরত পাঠাতে বললে কি করে হয়”! তিনি আরও বলেন, “এখন বিরোধীরা আসল লড়াই জিততে পারবে না বলে আদালতের লড়াইয়ে জেতার চেষ্টা করছে”।
রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে আরামবাগে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে এসে এমনই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের জয়েনিং লেটার ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে রাজভবন সূত্রে খবর।
পশ্চিমবঙ্গে এমন অভূতপূর্ব সাংবিধানিক এবং রাজনৈতিক সংকটের নজির নেই। গোটা দেশেও বিরল। আর এর পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে একের পর এক তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের মুখ খুলতে দেখা যাচ্ছে। সেই আবহেই সৌগত রায়ের এমন মন্তব্য বলে মনে করছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।
এছাড়াও সৌগত বাবু বলেন, “আরামবাগে BJP বিধায়করা কোনও উন্নয়ন করেননি। উন্নয়ন করেছে শুধু তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। মানুষ রাজ্যের উন্নয়নের পক্ষেই ভোট দেবেন”। হুগলি জেলায় তৃণমূলের ক্রমবর্ধমান গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “গণতান্ত্রিক একটি দলে অনেকের মতের মিল না হতেই পারে।
কিন্তু দল যাকে প্রতীক দেবে সেই দলের প্রার্থী। আর সেই ভোটে জিতবে”। বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে হুগলি জেলার আরামবাগে যান দমদম কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচার সারেন তিনি।
তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার সহ তৃণমূলের অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দ। এদিন সৌগত রায় স্থানীয় মন্দিরে পুজোও দেন। এরপর দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে মিটিং ও জনসভা করেন।