আবার কখনও বাড়ি ভাঙচুর করে যতরকম ভাবে আতঙ্কিত করা সম্ভব তা চালিয়ে গিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আছেন যাদের বাড়িতে ছোট শিশু বা কোলে বাচ্চা রয়েছে। তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে BJP-র সেফ হাউসে আশ্রয় নেন। গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনার পর ঘরছাড়াদের নিয়ে আসা হয় BDO অফিসে।
সেখানে প্রতীক জমা দেওয়ার পর পুলিশের সাহায্যে বেশ কয়েকজন ঘরছাড়াকে বাড়িতে পৌঁছে দেন কলকাতা উত্তর শহরতলী জেলার সভাপতি অরিজিৎ বক্সী। সঙ্গে ছিলেন সহ-সভাপতি কৌশিক চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও রাজ্যপাল ও হাইকোর্টের গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করবার জন্য যে পদক্ষেপ, তা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তাঁরা।
এই বিষয়ে BJP-র কলকাতা উত্তর শহরতলি জেলার সাংগঠনিক সভাপতি অরিজিৎ বক্সী বলেন, “তৃণমূলের লাগাতার সন্ত্রাসে আতঙ্কিত হয়ে এই পরিবারগুলি ঘরছাড়া। তাই আজ আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে এই প্রার্থীদের প্রতীক দেওয়া করালাম ও বাড়িতে ফিরিয়ে দিলাম। তৃণমূলের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন জারি থাকবে”।
ঘরছাড়া BJP প্রার্থী সোনিয়া হালদার বলেন, “মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই আমরা ঘরছাড়া। লাগাতার হুমকি দেওয়া হয়েছে আমাদের। এমনকি বাড়িতে এসে ভাঙচুর চালিয়ে গিয়েছে তৃণমূল কর্মীরা। আমরা ভয়ে দলীয় দফতরে আশ্রয় নিয়েছি। বাড়িতে ছোট ছোট শিশু রয়েছে। খুবই আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি”।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শুকুর আলি পুরকাইত বলেন, “BJP-র এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী, সাধারণ সম্পাদক ও বিধায়ক শোভনদেব বাবু বলেছেন বিরোধীদের কোনোরকম ভাবে কিছু করা চলবে না। বরঞ্চ তাদের অসুবিধা হলে আমাদের জানাতে। ওই এলাকায় কারোর ওপর কোনও হামলা করা হয়নি। ভোটে হারবে জেনেই ওরা নাটক করছে”।