জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের আগে ছুটির মেজাজে বিরাট কোহলি। এই পরিস্থিতিতে সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের জন্য় প্রস্তুতিতে ব্যস্ত টিম ইন্ডিয়া। ইতমধ্যেই টেস্ট ও একদিনের সিরিজের দল নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্ত্রী অনুষ্কা শর্মা ও কোলের মেয়ে ভামিকাকে নিয়ে নেদারল্যান্ডসে ছুটি কাটাচ্ছেন বিরাট কোহলি। সম্প্রতি বিরাটের এক সমর্থকের প্রোফাইলে কয়েকটা ছবি শেয়ার করা হয়, যেখানে দেখা যায় নেদারল্য়ান্ডসে ছুটি কাটাচ্ছেন বিরাট ও অনুষ্কা। তাঁর সঙ্গে সমর্থকরা ছবি তোলেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরাট ও অনুষ্কা দারুণ সক্রিয়। তাঁরা নিজেদের প্রতিটা আপডেট দিয়ে থাকেন। তবে এই নেদারল্য়ান্ডসে ভ্রমণের ছবি তাঁরা সামনে আনতে চান নি। তবে সমর্থকদের ক্যামেরায় ধরা পড়ে গিয়েছেন তাঁরা। নেদারল্যান্ডসে যেহেতু ক্রিকেট নিয়ে মাতামাতি কম তাই বিরাট-অনুষ্কা এই দেশকেই বেছে নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। যাতে তাঁরা ক্যামেরার ঝলকানির বাইরে ঘুরতে পারেন।
এর আগে অবশ্য লন্ডনের (Londan) এক মন্দিরে গিয়ে কীর্তনের সুরে মজেছিলেন বিরাট ও অনুষ্কা। গ্র্যামি নমিনেশন পাওয়া কৃষ্ণ দাসের কীর্তনের (Krishna Das Kirtan) আসরে দেখা যায় দুই তারকাকে। সেই ছবি ভাইরাল হতে সময় লাগেনি।
আরও পড়ুন: Rohit Sharma, WI vs IND: রোহিত-বিরাটকে রেখে দল গড়লেও বিশ্রামে পূজারা-শামি, সুযোগ পেলেন বাংলার মুকেশ
— virat_kohli_18_club (@KohliSensation) June 22, 2023
বিরাটের পরনে ছিল কালো টি-শার্ট। কীর্তন শুনতে গিয়েছিলেন দু’জন। একটি ছবিতে বেশ মন দিয়ে তত্ত্বকথা শুনতে দেখা যাচ্ছে দু’জনকে। ছবি দেখে অনেকেই বলছেন, বাইশ গজের যুদ্ধে সময় ভালো যাচ্ছে না। তাই বোধহয় কীর্তন শুনে মন শান্ত করার চেষ্টা করছেন বিরাট।
যে কৃষ্ণ দাসের আসরে বিরাট ও অনুষ্কা (Virushka) কীর্তন শুনতে গিয়েছেন তাঁর আসল নাম জেফ্রি কাগেল। কৃষ্ণ সাধনায় মন দিয়েই নাম পরিবর্তন করেছেন মার্কিন গায়ক। ১৯৯৬ সাল থেকে তাঁর প্রায় ১৭টি ভক্তিগীতি ও কীর্তনের অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। ২০১২ সালে প্রকাশিত ‘আনন্দ’ নামের অ্যালবাম। ২০১৩ সালের গ্র্যামি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল সেই অ্যালবামটি।
ব্যাটে রান নেই। নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না। অফ স্টাম্পের বাইরে যাওয়া বলে বারবার খোঁচা দিয়ে আউট হচ্ছেন। সুনীল গাভাসকর (Sunil Gavaskar), কপিল দেব (Kapil Dev) প্রবল সমালোচনা করছেন। একাধিক ক্রিকেট পণ্ডিতদের মতে বিরাট যদি সচিন তেন্ডুলকরের (Sachin Tendulkar) শরণাপন্ন হন, তাহলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তবে ‘কিং কোহলি’ কিন্তু নিজের মেজাজেই আছেন।

 
                    