Biriyani: বাবর-আকবর-শাহজাহানের খাবার নয়…! বিরিয়ানি তবে কার? – biriyani is not brought by mughals in india says food critic vir sanghvi


বাবর-আকবর-শাহজাহানের হাত ধরে এদেশে এসেছে বিরিয়ানি? নাকি পোলাওতেই মন মজত মোগল বাদশাদের? দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই বিতর্কেরই এবার অবসান ঘটতে চলেছে। চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই খাবারের ইতিহাসে নতুন আলো ছড়ালেন খাদ্য বিশারদ তথা বর্ষীয়ান সাংবাদিক বীর সাংভি।

সম্প্রতি কলকাতার একটি হোটেলে বিরিয়ানি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাংভি। প্রতিযোগীদের হাতে তৈরি বিরিয়ানি চেখে দেখেন তিনি। পাশাপাশি, বিরিয়ানির ইতিহাসও সকলের সামনে তুলে ধরেন ওই খাদ্য বিশারদ তথা বর্ষীয়ান সাংবাদিক।
জামাই ষষ্ঠীর মেইন কোর্সে প্লেটে সাজিয়ে দিতে পারেন ‘জিরা-পনির রাইস’
ওই অনুষ্ঠানে সাংভি বলেন, “মুঘলরা কিন্তু এদেশে বিরিয়ানি নিয়ে আসেননি। তাঁদের হাত ধরে ভারতে এসেছে পোলাও। শুনতে আশ্চর্য লাগলেও এটা সত্যি যে পোলাও হল আন্তর্জাতিক খাবার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই খাবার পাওয়া যায়। আর বিরিয়ানি সম্পূর্ণ ভারতীয় খাবার। যা বছরের পর বছর ধরে তৈরি করে আসছেন এদেশে শেফরা।”

উল্লেখ্য, কলকাতার হোটেলে প্রতিযোগিতা শেষে দু’টি খাবারের মধ্যে পার্থক্য ব্যাখ্যা করেন সাংভি। “পোলাওতে মাংস আর ভাত একসঙ্গে রান্না করা হয়। কিন্তু বিরিয়ানির ক্ষেত্রে মাংস আর ভাত রান্না করতে হয় আলাদা আলাদা ভাবে। পরে সেগুলিকে একসঙ্গে মেশানো হয়। বিরিয়ানির স্বাদ অনেকটাই নির্ভর করে ভাজা পেঁয়াজের উপর। পোলাওয়ের ক্ষেত্রে কিন্তু পেঁয়াজ একেবারেই গুরুত্বপূর্ণ নয়।” অনুষ্ঠানে বলেন বীর সাংভি।
Biryani : হিন্দুদের যৌন অক্ষম করার ছক? মুসলিমদের বিরুদ্ধে ‘বিরিয়ানি জেহাদ’-এর ভুয়ো খবরে তোলপাড়
এর পাশাপাশি বিরিয়ানি রান্নায় বাসমতি চালের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন ওই বর্ষীয়ান সাংবাদিক। সাংভির দাবি, বাসমতি ছাড়া অন্য কোনও চালে বিরিয়ানি রান্না করা সম্ভব নয়। বাসমতিরই সবচেয়ে বড় আবিষ্কার বিরিয়ানি বলে দাবি করেছেন তিনি।

কলকাতার হোটেলে আয়োজিত ওই প্রতিযোগিতার নাম ছিল ‘দ্য দাওয়াত বিরিয়ানি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ’। শহরের প্রতিভাবান শেফদের খুঁজে পেতেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ১৫০টি বিরিয়ানির রেসিপি খতিয়ে দেখেন প্রতিযোগিতার বিচারকরা। শেষ রাউন্ডে পূর্ব ভারতের সেরা ছ’জন শেফকে বেছে নেওয়া হয়েছিল।
সেকালের বনেদি বাড়ির এই ‘আমিষ শুক্তো’র পদটি কিন্তু বেজায় মুখরোচক, আজকের প্রজন্ম হয়তো চেখেই দেখেনি!
উল্লেখ্য এই প্রতিযোগিতায় সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নেন সরফরাজ হোসেন। কলকাতা স্পেশাল মাটন বিরিয়ানি তৈরির জন্য বিজয়ী হন তিনি। আল-ফয়েজ ফ্যামিলি রেস্তরাঁর সঙ্গে বর্তমানে জড়িত রয়েছেন শেফ সরফরাজ।

এই প্রতিযোগিতায় বিচারকের আসনে বীর সাংভি ছাড়াও ছিলেন বর্ষীয়ান শেফ মনজিৎ গিল। এছাড়াও ছিলেন শেফ শন কেনওয়ার্দি ও মধুশ্রী বসু রায়। অন্য বিচারকরা অবশ্য বিরিয়ানি ও পোলাওয়ের ইতিহাস নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *