প্রসঙ্গত, ওই গ্রামসভার আসনটি ২০০৩ সাল থেকে টানা চারবার গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকেই প্রার্থীরা জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু ২০২৩-এ এসে সেই একটানা জয়ে ছেদ পড়ল। এ বিষয়ে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই আসনে তৃণমূলের হয়ে কেউ মনোনয়ন না জমা করলেও, দলের দুই কর্মী নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা করেছিলেন। তাঁদের একজনকে ঘাসফুলের প্রতীকও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সজল মাজি নামের ওই প্রার্থী শেষ পর্যন্ত তাঁর মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে তৃণমূলের কেউ সেখানে প্রার্থী হতে পারেননি।
যদিও বিষয়টি নিয়ে ভাবিত নন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এবিষয়ে পদুমপুর- ১ অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি দীপনারায়ণ সাহু বলেন, ”সুকুমার নায়েক গ্রেফতার হয়েছেন। যা সাধারণ তৃণমূলকর্মীরা মেনে নিতে পারেননি। নেতা জেলবন্দি থাকায় অন্য কেউও প্রার্থী হতে চাননি। নির্দল প্রার্থী নির্মল কুইল্যা আমাদের দলেরই সদস্য। ফলে ভোটে কোন অসুবিধা হবে না, গ্রাম-পঞ্চায়েত আমাদের দখলেই থাকবে।” অর্থাৎ সরকারিভাবে প্রার্থী না দিলেও জয় নিয়ে নিশ্চিত স্থানীয় জোড়াফুল নেতৃত্ব।
সম্প্রতি নবজোয়ার কর্মসূচিতে এসে পদুমপুর গ্রাম-পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুকুমার নায়কের নামে নানা অনিয়ম-বেনিয়মের অভিযোগ শোনেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষুব্ধ দলনেতা তৃণমূল সাংসদ অভিষেকের নির্দেশে তমলুক থানায় অভিযোগ জমা হয় এবং গ্রেফতার করা হয় পদুমপুর গ্রাম-পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুকুমার নায়ককে। বর্তমানে তিনি জেলবন্দি।