সন্তোষ কলা এবার মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হয়েছেন। সন্তোষ দাঁড়িয়েছেন, লক্ষ্যা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে। প্রাথমিক স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সন্তোষ। ১৯৭৮ সাল থেকে গত পঁয়তাল্লিশ বছর ধরে অপরাজেয়। তাঁর লক্ষ্য ৫০ এর গন্ডি পার হওয়া। রাজ কলেজে প্রথম বর্ষে পড়তে পড়তে চরম দারিদ্র্যের কারণে পড়া ছাড়তে হয়। মাকে হারিয়েছিলেন সেই ছোট বেলায় এলাকার গরিব ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য মা চিন্ময়ী কলার স্মৃতিতে গড়ে তোলেন স্কুল। ২০১৩ এবং ২০১৮ সালে পর পর দু’বার লক্ষ্যার উপপ্রধান। বাম আমলে কংগ্রেস এবং তৃণমূল থেকে একটানা জিতে তিনি রেকর্ড করেছেন।
জমি দান করেন, নিজেই মাটি কেটে জমি ভরাট করেন, মানুষের সহায়তায় গড়েন প্রাইমারি স্কুল। পরে সেই স্কুল সরকারি স্বীকৃতি পায়। সেখানেই ৩৭ বছর শিক্ষকতা করেছেন সন্তোষ। তাঁর সময়েই ২০০৬ সালে লক্ষ্যা পঞ্চায়েত প্রথম মহিষাদলে নির্মল গ্রাম হিসেবে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পায়। টানা ৯ বার গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ের পর এবার পঞ্চায়েত সমিতির আসনে দাঁড়িয়ে রাজনীতির ৫০ বছর পূরণ করতে চায়। মনোনয়ন জমার পর সকাল সন্ধ্যা অনুগামীদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি জনসংযোগ শুরু করেছেন।
প্রচারে বেরিয়ে আগের রাজনীতি আর এখনকার রাজনীতির কথা তুলে ধরেন সন্তোষবাবু৷ তিনি জানান, ”’আগে অনেক কষ্ট করতে হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যেভাবে উন্নয়ন করেছে তাতে আমাদের কাজ ও কষ্ট অনেকটাই কম।” এই বয়সে এসে যখন বিরোধীদের কুকথা শুনতে হয় তখন কী মনে হয় প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাব দেন, বিরোধীদের কাজই বিরোধীতা করা। তবে আগের থেকে এখন বেশি বেশি কুকথা ও নোংরা রাজনীতি করে চলেছে বলে জানান তিনি। জেতার ব্যাপারে ১০০ শতাংশ আশাবাদী সন্তোষবাবু। এখন দেখার সন্তোষবাবুর রাজনৈতিক বয়স ৫০ এর গণ্ডী পার করতে পারে কী না।
