West Bengal Panchayat Election: টানা ৪৫ বছর ধরে পঞ্চায়েত সদস্য, ৭৩-এও ভোট প্রার্থী শিক্ষকের লক্ষ্য এবার রেকর্ড


TMC Panchayat Candidate : সাফল্যের সামনে বয়স যে কোনও ফ্যাক্টর নয় তা বারে বারে প্রমাণিত। আবারও দেখা মিলল মহিষাদলের লক্ষ্যায়। ৭৩ বছর বয়সেও তরতাজা যুবক ভোট প্রার্থী। এখনও তেজি ঘোড়ার মতো সকাল থেকে রাত অবধি ছুটে বেড়ান গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে। ৭৩ এর যুবক সন্তোষ কলার বয়স একটি সংখ্যামাত্র। পঞ্চায়েত ব্যবস্থা কিংবা গ্রামোন্নয়নের কাজে পাঁচ দশকের বেশির সময় কাটিয়েছেন । ছাত্র গড়ার কারিগর নিজের অজান্তেই একদিন হয়ে উঠেছেন গ্রাম গড়ার বিশ্বকর্মা। পঞ্চায়েতের কাজে উজ্জ্বল এক স্বাক্ষর রেখে ইতিহাসের মহিষাদলকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। সারা দেশের কাছে।স্বচ্ছ ভাবমূর্তি এবং জনসংযোগই তাঁদের ইউএসপি। সেই নিরিখেই এবার নতুন মুখের জোয়ারেও তৃণমূলের তুরুপের তাস এই প্রবীণ শিক্ষক।

Panchayat Election 2023: TMC প্রার্থীর মনোনয়নে কারচুপি? দাসপুরে বিডিওকে কাঠগড়ায় তুলল BJP-CPIM

সন্তোষ কলা এবার মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হয়েছেন। সন্তোষ দাঁড়িয়েছেন, লক্ষ্যা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে। প্রাথমিক স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সন্তোষ। ১৯৭৮ সাল থেকে গত পঁয়তাল্লিশ বছর ধরে অপরাজেয়। তাঁর লক্ষ্য ৫০ এর গন্ডি পার হওয়া। রাজ কলেজে প্রথম বর্ষে পড়তে পড়তে চরম দারিদ্র্যের কারণে পড়া ছাড়তে হয়। মাকে হারিয়েছিলেন সেই ছোট বেলায় এলাকার গরিব ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য মা চিন্ময়ী কলার স্মৃতিতে গড়ে তোলেন স্কুল। ২০১৩ এবং ২০১৮ সালে পর পর দু’বার লক্ষ্যার উপপ্রধান। বাম আমলে কংগ্রেস এবং তৃণমূল থেকে একটানা জিতে তিনি রেকর্ড করেছেন।
West Bengal Panchayat Election : দুর্নীতির প্রতিবাদে মনের জোরই যথেষ্ট! বীরভূমে বামেদের হয়ে লড়বেন মূক ও বধির ঝর্ণা

জমি দান করেন, নিজেই মাটি কেটে জমি ভরাট করেন, মানুষের সহায়তায় গড়েন প্রাইমারি স্কুল। পরে সেই স্কুল সরকারি স্বীকৃতি পায়। সেখানেই ৩৭ বছর শিক্ষকতা করেছেন সন্তোষ। তাঁর সময়েই ২০০৬ সালে লক্ষ্যা পঞ্চায়েত প্রথম মহিষাদলে নির্মল গ্রাম হিসেবে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পায়। টানা ৯ বার গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ের পর এবার পঞ্চায়েত সমিতির আসনে দাঁড়িয়ে রাজনীতির ৫০ বছর পূরণ করতে চায়। মনোনয়ন জমার পর সকাল সন্ধ্যা অনুগামীদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি জনসংযোগ শুরু করেছেন।

West Bengal Panchayat News : টিকিট পেলেন না তৃণমূল বিধায়ক, দেওয়াল থেকে মোছা হল নাম! মহিষাদলে হইচই

প্রচারে বেরিয়ে আগের রাজনীতি আর এখনকার রাজনীতির কথা তুলে ধরেন সন্তোষবাবু৷ তিনি জানান, ”’আগে অনেক কষ্ট করতে হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যেভাবে উন্নয়ন করেছে তাতে আমাদের কাজ ও কষ্ট অনেকটাই কম।” এই বয়সে এসে যখন বিরোধীদের কুকথা শুনতে হয় তখন কী মনে হয় প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাব দেন, বিরোধীদের কাজই বিরোধীতা করা। তবে আগের থেকে এখন বেশি বেশি কুকথা ও নোংরা রাজনীতি করে চলেছে বলে জানান তিনি। জেতার ব্যাপারে ১০০ শতাংশ আশাবাদী সন্তোষবাবু। এখন দেখার সন্তোষবাবুর রাজনৈতিক বয়স ৫০ এর গণ্ডী পার করতে পারে কী না।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *