ঝর্ণার স্বামী জানান, কর্মসূত্রে তিনি বিশাখাপত্তনমে থাকেন। কয়েকদিন আগে বাড়িতে এসেছিলেন। কিছুদিন আগে তাঁর বাবা ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তিনিও। সেই সময় ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে একাই ছিলেন ঝর্ণা।
তাঁর স্বামীর দাবি, সেই সুযোগে বাড়ি ছেড়েছেন তাঁর স্ত্রী। ওই যুবক বলেন, “বাড়ি ফিরে মেয়ে আর স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে আমি ওর বাড়িতে ফোন করেছিলাম। কিন্তু, তাঁরা জানায় স্ত্রী এবং মেয়ে সেখানেও নেই। এরপরেই আমি কার্যত দিশেহারা হয়ে ওর ভাইকে ফোন করি। তিনিও জানান আমার স্ত্রী সেখানে নেই। বউকে কমপক্ষে ৫০ থেকে ১০০ বার ফোন করি।”
ঝর্ণার স্বামী বলেন, “আমার বিছানা আলুথালু হয়ে রয়েছে। এই সব বিছানা গোছানোর কাজ স্ত্রী করত। আমি আমার মেয়েকে ছেড়েও থাকতে পারব না। আমি স্ত্রী এবং মেয়েকে ফেরত পেতে চাই। যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। আমার স্ত্রীর উদ্দেশে একটাই বার্তা আমি কিছু মনে রাখব না। শুধু তোমাকে ফেরত পেতে চাই।”
কান্নাকাটি করে ঝর্ণার স্বামী আরও বলেন, “আমার মেয়েটাকেও সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছে। ওর জন্য কান্নাকাটি করে মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলাম। আমার মাথা ফেটে গিয়েছে। আমার স্ত্রী এবং সন্তানের সন্ধান দিতে পারলেই মোটা টাকা পুরস্কার দেব।” যদিও এখনও পর্যন্ত ঝর্ণাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলেই জানা গিয়েছে।
ঝর্ণার শাশুড়ি বলেন, “আমার নাতনির জন্য মন কেমন করছে। ওই ছোট্ট মেয়েটা তো কোনও দোষ করেনি। ওদের ফিরে পেতে চাই। আমাদের নাওয়া খাওয়া চলে গিয়েছে।”
ইতিমধ্যেই থানার দ্বারস্থ হয়েছেন ঝর্ণার স্বামী। দায়ের করা হয়েছে অভিযোগও। যদিও এখনও ওই বধূর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে বউমা কারও সঙ্গে বাড়ি ছেড়েছেন কীনা তা নিয়ে নিশ্চিত নয় পরিবার। তাঁদের কথায়, “ও ফোনে ব্যস্ত থাকত সারাক্ষণ। তবে কোথায় গিয়েছে সেই বিষয়ে আমরা নিশ্চিত নই।”