KMC TAX : কসবা-যাদবপুর-বেহালা-জোকার বাসিন্দাদের স্বস্তি, বড় উদ্যোগ কলকাতা পুরসভার – kolkata municipal corporation takes initiative to end tax related harassment of added area people of kolkata


কলকাতার অ্যাডেড এরিয়া বা সংযুক্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের (১০১-১৪৪ নং ওয়ার্ড) ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের খাজনা এবং কলকাতা পুরসভার সম্পত্তিকর বিভাগের ট্যাক্স, এই দুইয়ের টাকা জমা দিতে হয় নাগরিকদের। দুই জায়গায় দুই খাতের টাকা জমা করতে ছুটতে হয়। টাকা জমা করতে একবার বিএলআরও এবং আর একবার পুরসভায় যেতে হয় বাসিন্দাদের। দুই জায়গায় টাকা জমা দেওয়ার কাজ বেশ ঝঞ্ঝাটের। বিশেষ করে এই সংযুক্ত এলাকায় নতুন বাড়ি বা ফ্ল্যাট তৈরি করতে হলে নানা ধরনের প্রশাসনিক সমস্যার জাঁতাকলে পড়তে হয় আম আদমিকে। একধিকবার সমস্যাগুলি সমাধানের দাবি উঠেছে। সাধারণ নাগরিকের এই দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে এবার সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী কলকাতা পুরসভা।

Income Tax: কমতে পারে করের হার, করদাতাদের স্বস্তি দিতে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের!
একই সঙ্গে যাতে খাজনা এবং পুরসভার কর অনলাইনে জমা করা যায় সেই পরিকাঠামো তৈরির চিন্তাভাবনা করা হয়েছে পুরসভার তরফে। ইতিমধ্যেই নয়া এই পরিকাঠামো তৈরির প্রস্তাব ভূমি রাজস্ব দফতরকে পাঠিয়েছে পুরসভা। শুক্রবার মার্চেন্ট চেম্বার অফ কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত এক আলোচনায় সভায় একথা জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমার।
Kolkata Municipal Corporation : সম্পত্তিকর আদায়ে কঠোর পথে পুরসভা
সংযুক্ত অঞ্চলগুলির মধ্যে রয়েছে কসবা, যাদবপুর, বেহালা এবং জোকা। ১৯৮৪ এবং ২০১২ সালে এই অঞ্চলগুলি কলকাতা পুরসভার অন্তর্ভুক্ত হয়। বিনোদ কুমারের কথায়, দুই ভিন্ন জায়গায় করের টাকা জমা করা সাধারণ মানুষের কাছে ‘হয়রানির’ নামান্তর।

সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানে বহুদিন ধরেই চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুরসভার কমিশনার। তিনি আরও জানান, খাজনা বন্ধ করা সম্ভব নয়। আইন সংশোধন করতে গেলে নতুন করে জটিলতা তৈরির সম্ভাবনা। তাই খাজনা ও পুর সম্পত্তিকর দুটি বিষয়কে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিষয়টি তৈরি হলে নাগরিকরা একসঙ্গে অনলাইনে দুটি খাতের টাকাই জমা করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে পরে দুই দফতরের প্রাপ্ত টাকা ভাগ হয়ে যাবে।
Kolkata Municipal Corporation : অনলাইন বিল পেমেন্টে সুবিধা বাড়াচ্ছে পুরসভা
নতুন এই পরিকাঠামো তৈরি হলে নাগরিকদের সুবিধা হবে অনেকটাই। দুই খাতের টাকা জমা দিতে দুই জায়গায় দৌড়াতে হবে না তাদের। তাতে সময়ও বাঁচবে। পরিশ্রম ও ঝঞ্ঝাট কমবে আম আদমির। এমনটাই মনে করছেন অনেক।

অন্যদিকে, চলতি বছরে ৫২ হাজার নতুন করদাতা তৈরি করেছে কলকাতা পুরসভা। গত বছর পর্যন্ত কলকাতায় কর দাতার সংখ্যা ছিল ৮ লাখ ৭০। গত জানুয়ারি মাসে সেই সংখ্যাটা বেড়ে হয় ৯ লাখ ১৪ হাজার। মার্চে সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ৯ লাখ ২২ হাজার। নতুন করদাতার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় পুরসভার আয় আরও বাড়বে বলেই আশা করা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *