জানা গিয়েছে, এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের ২ ডিগ্রি কম। শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি।
জানা যাচ্ছে, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুরে-সহ ঝাড়গ্রাম, বীরভূমের কিছু অংশে। বেশি বৃষ্টি হবে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে। আগামী ৫ দিনও আবহাওয়ার বিশেষ তারতম্য হবে না। প্রসঙ্গত, ওডিশা সংলগ্ন ঝাড়খণ্ড এবং ছত্তিশগড়ের উপর তৈরি হয়েছে একটি নিম্নচাপ। তার জেরেই কয়েকদিন বৃষ্টিপাত চলবে। তবে ২৯ জুন থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে বলে পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। তবে তখন তাপমাত্রা বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। আদ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে।
IMD-এর তথ্য বলছে, সোমবার থেকে পয়লা জুলাই পর্যন্ত দুই পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায় আগামীকাল হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। অন্যদিকে উত্তরের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দুই দিনাজপুর, মালদায় পয়লা জুলাই পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস।
কয়েক দিনের বস্তা পচা গরম থেকে রেহাই মিলেছে অবশেষে। সোমবার সকাল থেকেই অঝোরে বৃষ্টি নামে কলকাতায়। বেশ কিছু এলাকায় জলও জমে যায়। প্রায় চার-পাঁচ ঘণ্টা নাগাড়ে বৃষ্টি চলে। বৃষ্টি ভিজেছে দুই ২৪ পরগনা, ২ মেদিনীপুর সহ আরও একাধিক জেলা। গত সপ্তাহের শেষ থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। আপাতত গলদঘর্ম অবস্থা থেকে বেশ কিছু মুক্তি বলেই মনে করছে আবহাওয়া দফতর। অফিস কাছাড়ি যেতে গিয়ে ঘেমে নাজেহাল অবস্থা হয় অনেকেরই। আদ্রতা বেশি থাকায় কষ্ট হয় আরও বেশি। সেই অবস্থারও কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে শহর থেকে জেলার চিত্র কিন্তু বুঝিয়ে দিচ্ছে, বর্ষা এসে গেছে…!