এক সময় কায়াকল্প প্রকল্পের অধীনে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে যশোডাঙা গ্রামীণ হাসপাতাল। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করার পর মোটা অংকের অনুদানও মিলেছে হাসপাতালের উন্নয়নের জন্য। কয়েক লাখ টাকা ব্যয় করে একটি জেনারেটরও কেনা হয়েছিল। এমনকি জেনারেটর রাখার জন্য ঘর তৈরি হয়েছিল আরও কয়েক লাখ টাকা ব্যয় করে।
কিন্তু সেই বহুমূল্য জেনারেটর লোডশেডিং থাকলেও চলছে না। যশোডাঙা গ্রামের হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, ওই জেনারেটর চালানো হলে নাকি ঘণ্টায় ৬ লিটার তেল খরচ হয়। অসম্ভব খরচের কারণে জেনারেটর থাকতেও তা ব্যবহার করছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আর সেই কারণে প্রচণ্ড গরমে হতাশ হয়ে হাসপাতালের বাইরে বসেই রাত কাটান রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা। কিন্তু জানা গিয়েছে, রবিবার মধ্যরাত ১ টা বাজলেও এলাকায় লোডশেডিং অব্যাহত ছিল। গতকাল রাতে জেনারেটরের বিষয় নিয়ে স্বাস্থ্য কর্মীদের ফোন করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের মধ্যেও ক্ষোভ তৈরি হতে শুরু করে। বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিককে ফোন করা হলেও তারা ফোন তোলেননি বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ফলে এক কথায় এই গরমে হাসপাতালে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় সমস্যায় পড়েন চিকিৎসারত রোগী ও রোগীর পরিবারের সদস্যরা।
এক রোগী এই বিষয়ে বলেন, “আমার গলব্লাডারে একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে। সেই কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। ভেবেছিলাম আজ বাড়ি চলে যাব। কিন্তু রবিবার থাকায় কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ায় এখানে থাকতে হল। আর এখানে থেকে যা বিপদে পড়লাম তা কোনোদিন কল্পনা করিনি।
লোডশেডিংয়ের কারণে ভিতরে যা গরম, তা সহ্য করা যাচ্ছে না। সেই কারণে বাইরে চলে আসতে হয়েছে। আমার থেকেও অনেক কঠিন ব্যাধির রোগীরা এই হাসপাতালে রয়েছেন। তাঁদের অবস্থা খুবই করুণ”। যদিও এই লোডশেডিংয়ের বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি