Alipurduar News : গরমে দোসর লোডশেডিং! অন্ধকারে ডুবল হাসপাতাল, ভোগান্তিতে রোগীরা – due to load shedding the patients spent the night outside the hospital in alipurduar


Load Shedding : লোডশেডিংয়ের জেরে বিপাকে পড়ে হাসপাতালের বাইরে রাত কাটালেন রোগীরা। এমনই দৃশ্য দেখা গেল রাত ১১ টা ৩০ মিনিট নাগাদ ‌আলিপুরদুয়ার দু’নম্বর ব্লকের যশোরডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, লোডশেডিংয়ের দরুন রাত ১১ টা ৩০ মিনিট থেকে হাসপাতালের বাইরে বসে রাত কাটান রোগীরা। কারণ, বিদ্যুৎহীন হয়ে থাকে গোটা এলাকা। তারই জেরে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীরা সেই সময় হাসপাতালের বাইরে বেরিয়ে আসেন। লোডশেডিংয়ের জেরে অসহ্য গরম সহ্য করতে না পেরে, বাধ্য হয়ে তারা বাইরে ঘুরে বেড়ান। ‌

CESC : দফায় দফায় লোডশেডিং! CESC কর্তাদের ডেকে বিদ্যুৎমন্ত্রী বললেন, ‘…অভিযোগ যেন না আসে’
এক সময় কায়াকল্প প্রকল্পের অধীনে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে যশোডাঙা গ্রামীণ হাসপাতাল। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করার পর মোটা অংকের অনুদানও মিলেছে হাসপাতালের উন্নয়নের জন্য। কয়েক লাখ টাকা ব্যয় করে একটি জেনারেটরও কেনা হয়েছিল। ‌এমনকি জেনারেটর রাখার জন্য ঘর তৈরি হয়েছিল আরও কয়েক লাখ টাকা ব্যয় করে।

CESC Power Outage : বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য দায়ী কি গ্রাহকরাই? বার বার লোডশেডিং নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন
কিন্তু সেই বহুমূল্য জেনারেটর লোডশেডিং থাকলেও চলছে না। যশোডাঙা গ্রামের হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, ওই জেনারেটর চালানো হলে নাকি ঘণ্টায় ৬ লিটার তেল খরচ হয়।‌ অসম্ভব খরচের কারণে জেনারেটর থাকতেও তা ব্যবহার করছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Jalpaiguri News : ছুটির আগেই অঘটন! জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ৬ তলা থেকে পড়ে মৃত্যু রোগীর
আর সেই কারণে প্রচণ্ড গরমে হতাশ হয়ে হাসপাতালের বাইরে বসেই রাত কাটান রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা। কিন্তু জানা গিয়েছে, রবিবার মধ্যরাত ১ টা বাজলেও এলাকায় লোডশেডিং অব্যাহত ছিল। গতকাল রাতে জেনারেটরের বিষয় নিয়ে স্বাস্থ্য কর্মীদের ফোন করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।

Trending News: তিন বাচ্চার পর চতুর্থবারও সিজারের মাধ্যমে শিশুর জন্ম, সরকারি হাসপাতালে সফল সাংঘাতিক ঝুঁকির অস্ত্রোপচার
‌এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের মধ্যেও ক্ষোভ তৈরি হতে শুরু করে। বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিককে ফোন করা হলেও তারা ফোন তোলেননি বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ‌ফলে এক কথায় এই গরমে হাসপাতালে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় সমস্যায় পড়েন চিকিৎসারত রোগী ও রোগীর পরিবারের সদস্যরা।

এক রোগী এই বিষয়ে বলেন, “আমার গলব্লাডারে একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে। সেই কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। ভেবেছিলাম আজ বাড়ি চলে যাব। কিন্তু রবিবার থাকায় কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ায় এখানে থাকতে হল। আর এখানে থেকে যা বিপদে পড়লাম তা কোনোদিন কল্পনা করিনি।

লোডশেডিংয়ের কারণে ভিতরে যা গরম, তা সহ্য করা যাচ্ছে না। সেই কারণে বাইরে চলে আসতে হয়েছে। আমার থেকেও অনেক কঠিন ব্যাধির রোগীরা এই হাসপাতালে রয়েছেন। তাঁদের অবস্থা খুবই করুণ”। যদিও এই লোডশেডিংয়ের বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *