দুর্ঘটনা দুদিন পরেই মিশনের মহারাজ নিত্যরূপানন্দজি মহারাজ টুইট করে জানান, এই দুর্ঘটনায় যারা পিতা-মাতা হারিয়েছেন বা পিতা বা মাতার কাজ করার ক্ষমতা নেই, তাঁদের শিশুদের পড়াশোনা এবং ভরনপোষণের দায়িত্ব নেবে বারাকপুর রামকৃষ্ণ মিশন।
শুধু তাই নয়, কেউ যদি উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হতে চায় সে ব্যবস্থাও করবে ব্যারাকপুর রামকৃষ্ণ মিশন। টুইট করবার পর বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে মোট ৫৮ জন এখানে আসবার জন্য আবেদন করে রাজ্য সরকারের কাছে। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এদিন সোমবার মিশনে আসে একাধিক অসহায় পরিবার। বেশ কিছু পরিবার তাঁদের বাচ্চাদের মিশনে রেখে পড়ানোর ব্যাপারে আগ্রহী হয়।
আজ মালদা, মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা থেকে ১৫ জন ছেলেমেয়ে আশ্রয় পেল রামকৃষ্ণ মিশনে। সন্তানকে পৌঁছে দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মায়েরা। তাঁদের আবেদন একটা কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক। যাতে বাচ্চাকেও দেখাশোনা করতে পারে। তাঁরা যেন সমাজের কাজে লাগতে পারে সে ব্যবস্থা করেন মিশনের মহারাজ। তবে মিশন পড়াশোনার দায়িত্ব তুলে নেওয়ায় খুশি প্রত্যেকের পরিবার।
পরবর্তীকালে আরও কোনও দুঃস্থ পরিবারের সদস্যরা মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁদের পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়া হবে বলে জানান হয় এদিন মিশনের তরফে। প্রসঙ্গত, গত জুন ওডিশা রাজ্যের বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান আড়াইশো জনেরও বেশি যাত্রী। করমণ্ডল এক্সপ্রেস, একটি মালবাহী গাড়ি এবং যশবন্তপুর হাওড়া হামসফর এক্সপ্রেস বড়সড় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়।
রেল দুর্ঘটনা নাড়িয়ে দেয় গোটা দেশকে। ঘটনাস্থলে ছুটে যান কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং। সিগন্যাল সংক্রান্ত কোনও ত্রুটি নাকি অন্য কোনও সমস্যার কারণে এই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে সে ব্যাপারে রেলের তরফে তদন্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি, সিবিআই এই ঘটনার তদন্ত করছে। নিহত এবং আহতদের তরফে ইতিমধ্যে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী রিলিফ ফান্ড থেকে আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে।