ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ। বিধায়কের বাড়ির কাছে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। বোমা ফাটার পর এলাকার দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল অশান্তি শুরু হয়। ঘটনা থামাতে গিয়ে আক্রান্ত হন মুকুটমনি অধিকারীর মা, বাবা এবং ভাই। আহত অবস্থায় তিনজনকেই রাতেই চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে।
যদিও এ বিষয়ে বিধায়কের অভিযোগ, এলাকার বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উপর অতর্কিতে হামলা চালায় কিছু তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বিধায়কের বাবা ঝামেলা থামাতে গেলে তিনিও আক্রান্ত হন। একই সঙ্গে তার ভাই এবং মা ও আক্রান্ত হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর তিনজনকে প্রথমে স্থানীয় কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক হাসপাতাল সেখান থেকে মুকুটমণি অধিকারীর ভাইকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
ঘটনার পর এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। ঘটনার পর দুই পক্ষই কৃষ্ণগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করে। আজ অর্থাৎ সোমবার দু’পক্ষকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে। তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা জানান, প্রচার সেরে এসে কিছু তৃণমূল কর্মীরা বসেছিল। সেখান থেকে মিটার চল্লিশ দূরে একটি বোমা ফাটে। এরপরেই বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীর ভাই অনুপম অধিকারী লোকজন নিয়ে তাঁদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। এরপরেই দুপক্ষের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। তৃণমূলের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানান হয়।
মুকুটমণি অধিকারীর পরিবারের এক সদস্য বলেন, “আমরা বাড়িতে তখন শুয়ে ছিলাম। হঠাৎ করে শুনতে পাই, ক্লাবের মাঠে বোমা মেরেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিতে ফেলে আমাদের উপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়। আমাদের মোট নয়জন আক্রান্ত হয়েছে।” তার মধ্যে দুজন গুরুতর আক্রান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।