৭ জুন রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগের যে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল, তা চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন নব্যেন্দু অধিকারী নামে এক জনৈক ব্যক্তি। মামলার করার অনুমতি চেয়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। প্রধান বিচারপতি মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। চলতি সপ্তাহে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসের মেয়াদ শেষের পর রাজভবনে রাজীব সিনহা সহ তিন জনের নাম পাঠায় রাজ্য সরকার। প্রথমে রাজীবের নামে অনুমতি দেননি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পরে রাজীব সিনহার নামে অনুমোদন দেয় রাজভবন। সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে রাজ্যব্যপী সন্ত্রাসের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার রাজীবের জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত পাঠান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে প্রশ্নের মধ্যে আদালতে এই জনস্বার্থ মামলা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর আদালকের দ্বারস্থ হন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মনোনয়নের সময়সীমা বৃদ্ধি ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন সহ একাধিক দাবি করা হয়েছিল মামলায়। প্রাথমিকভাবে রাজ্যের ৭ জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। পরবর্তীকালে রাজ্যের সব জেলাতেই বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় আদালত। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ন নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকার। কিন্তু শীর্ষ আদালতও সেই নির্দেশ বহাল রাখে।
আরও জানকে রিফ্রেশ করুন…