স্থানীয় সূত্রে খবর, বেলঘরিয়ার ওই বাড়িতেই একসঙ্গে থাকতেন দে পরিবারে ৪ ভাই। প্রত্যকেই ছিলেন অবিবাহিত। বছর কয়েক আগে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়। বাকি দুই ভাই তারপর থেকে ওই বাড়ির তিনতলায় থাকতেন। তবে পাড়া প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিশেষ মেলামেশা ছিল না দে পরিবারের সদস্যদের।
বিগত কয়েকদিন ধরে দে পরিবারের কারও তেমন কোনও সাড়াশব্দ পাচ্ছিলেন না পাড়ার মানুষজন। যার জেরে এলাকাবাসী খবর দেন স্থানীয় নিমতা থানায়। এরপর পুলিশ গিয়ে বাড়িতে ঢুকে তিনতলার একটি ঘর থেকে বীরেন্দ্র কুমার দে-এর পচাগলা দেহটি উদ্ধার করে। সংলগ্ন আরও একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয় একটি কঙ্কাল। সেই কঙ্কালটিই ধীরেন্দ্র কুমার দে-এর বলে মনে করা হচ্ছে হচ্ছে। এক্ষেত্রে পুলিশ স্থানীয় মানুষের অনুমান, হয়ত ৫-৬ মাস আগেই মৃত্যু হয়েছে ধীরেন্দ্রবাবুর। সেই দেহই একদিন আগলে ছিলেন বীরেন্দ্র কুমার। এরপর তাঁরও মৃত্যু হয়। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে নিমতা থানার পুলিশ।
আগেও ঘটেছে এমন ঘটনা
প্রসঙ্গত শহর কলকাতার বুকে অতীতেও বারেবারেই চাঞ্চল্য পেলে দিয়েছে এই ঘরনের ঘটনা। বেশকিছু বছর আগে রবিনসন স্ট্রিটকাণ্ড তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল গোটা শহরজুড়ে। দীর্ঘ সময় ধরে দিদির দেহ আগলে রেখেছিলেন পার্থ দে। ২০১৯ সালে দমদমের জগদীশপুরে প্রকাশ্যে আসে একই ধরনের ঘটনা। সেখানেও দিদি রুমা দত্তের দেহ আগলে বসে থাকতে দেখা যায় ভাই বিশ্বরূপ দত্তকে। তারও বছরখানেক আগে সল্টলেকের বিই ব্লকে মায়ের মৃত্যুর ১৮ দিন পরেও সেই খবর পাড়া প্রতিবেশীকে জানতে দেননি ছেলে। পরে তা জানাজানি হয়। ২০২১ সালে বাগবাজারের নিয়োগী ঘাট স্ট্রিটে এক নাট্যকর্মীর মৃত্যুর ক্ষেত্রেও এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকতে হয় এলাকাবাসীকে। দিগ্বিজয় ঘোষ নামে ওই নাট্যকর্মীর মৃত্যুর প্রায় দু’মাস পর পর্যন্ত তাঁর দেহ বাড়িতেই রেখে দেন স্ত্রী ও মেয়ে। পরে দুর্গন্ধ পাওয়ায় পুলিশকে খবর দেন পাড়া প্রতিবেশীরা। এরপর পুলিশ গিয়ে একপ্রকার জোর করেই সেই দেহ উদ্ধার করে।