North 24 Parganas News : ব্যক্তির পচাগলা দেহ উদ্ধার, পাশের ঘরেই মিলল কঙ্কালও! বেলঘরিয়ায় চাঞ্চল্য – north 24 parganas belgharia decomposed body and a skeleton recovered by nimta police station


বিদ্যুৎ দফতরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর পচাগলা দেহ উদ্ধার। বাড়ির অপর একটি ঘর থেকে উদ্ধার একটি কঙ্কালও। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়ার পূবপাড়ায়। মৃত ব্যক্তির নাম বীরেন্দ্র কুমার দে। উদ্ধার হওয়া কঙ্কালটি তাঁর ভাই ধীরেন্দ্র কুমার দে-এর হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

IIT Kharagpur : ফয়জানকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এক ছাত্রের রহস্যমৃত্যু আইআইটি খড়গপুরে
স্থানীয় সূত্রে খবর, বেলঘরিয়ার ওই বাড়িতেই একসঙ্গে থাকতেন দে পরিবারে ৪ ভাই। প্রত্যকেই ছিলেন অবিবাহিত। বছর কয়েক আগে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়। বাকি দুই ভাই তারপর থেকে ওই বাড়ির তিনতলায় থাকতেন। তবে পাড়া প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিশেষ মেলামেশা ছিল না দে পরিবারের সদস্যদের।

Barrackpore Murder Case: দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন! তরুণী চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপার মৃত্যুতে গ্রেফতার লিভ-ইন পার্টনার
বিগত কয়েকদিন ধরে দে পরিবারের কারও তেমন কোনও সাড়াশব্দ পাচ্ছিলেন না পাড়ার মানুষজন। যার জেরে এলাকাবাসী খবর দেন স্থানীয় নিমতা থানায়। এরপর পুলিশ গিয়ে বাড়িতে ঢুকে তিনতলার একটি ঘর থেকে বীরেন্দ্র কুমার দে-এর পচাগলা দেহটি উদ্ধার করে। সংলগ্ন আরও একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয় একটি কঙ্কাল। সেই কঙ্কালটিই ধীরেন্দ্র কুমার দে-এর বলে মনে করা হচ্ছে হচ্ছে। এক্ষেত্রে পুলিশ স্থানীয় মানুষের অনুমান, হয়ত ৫-৬ মাস আগেই মৃত্যু হয়েছে ধীরেন্দ্রবাবুর। সেই দেহই একদিন আগলে ছিলেন বীরেন্দ্র কুমার। এরপর তাঁরও মৃত্যু হয়। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে নিমতা থানার পুলিশ।

Barrackpur Doctor Death Mystery: প্রজ্ঞাদীপার মৃত্যুর সময় কোথায় ছিলেন কৌশিক? রহস্যমৃত্যুর জট খুলতে ফরেনসিক
আগেও ঘটেছে এমন ঘটনা
প্রসঙ্গত শহর কলকাতার বুকে অতীতেও বারেবারেই চাঞ্চল্য পেলে দিয়েছে এই ঘরনের ঘটনা। বেশকিছু বছর আগে রবিনসন স্ট্রিটকাণ্ড তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল গোটা শহরজুড়ে। দীর্ঘ সময় ধরে দিদির দেহ আগলে রেখেছিলেন পার্থ দে। ২০১৯ সালে দমদমের জগদীশপুরে প্রকাশ্যে আসে একই ধরনের ঘটনা। সেখানেও দিদি রুমা দত্তের দেহ আগলে বসে থাকতে দেখা যায় ভাই বিশ্বরূপ দত্তকে। তারও বছরখানেক আগে সল্টলেকের বিই ব্লকে মায়ের মৃত্যুর ১৮ দিন পরেও সেই খবর পাড়া প্রতিবেশীকে জানতে দেননি ছেলে। পরে তা জানাজানি হয়। ২০২১ সালে বাগবাজারের নিয়োগী ঘাট স্ট্রিটে এক নাট্যকর্মীর মৃত্যুর ক্ষেত্রেও এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকতে হয় এলাকাবাসীকে। দিগ্বিজয় ঘোষ নামে ওই নাট্যকর্মীর মৃত্যুর প্রায় দু’মাস পর পর্যন্ত তাঁর দেহ বাড়িতেই রেখে দেন স্ত্রী ও মেয়ে। পরে দুর্গন্ধ পাওয়ায় পুলিশকে খবর দেন পাড়া প্রতিবেশীরা। এরপর পুলিশ গিয়ে একপ্রকার জোর করেই সেই দেহ উদ্ধার করে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *