West Bengal Panchayat Election : ভোট প্রচারের প্রথম দিন থেকেই জনসংযোগে ঝড় তুলছেন তৃণমূলের জেলা পরিষদের প্রার্থী শতরূপা পোদ্দার। তৃণমূল প্রার্থী বাদে তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে, তিনি আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের বোন। তিনি এদিন সাংসদ তথা দিদি অপরূপা পোদ্দারকে সঙ্গে নিয়ে ভোট প্রচারে বের হয়ে পঞ্চায়েত স্তরের BJP প্রার্থীর মুখোমুখি হন।
সৌজন্যের রাজনীতির পাশাপাশি তৃণমূলের উন্নয়নে দিকটিও তুলে ধরেন তিনি। এদিকে, BJP প্রার্থী তৃণমূলের উন্নয়নের কথা স্বীকার করে নিলেও স্থানীয় বিদায়ী প্রধান চন্দনা ঘোষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের ডিহিবাগনান এলাকায়।
হুগলি জেলা পরিষদের ৪২ নম্বর আসন থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন শতরূপা পোদ্দার। তিনি তাঁর দিদি ও আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের সঙ্গে গৌরহাটি এক নম্বর অঞ্চলে ভোট প্রচার করেন। তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের পাশাপাশি পথ চলতি মানুষ ও স্থানীয় দোকানদারদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পান তিনি।
অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে ডিহিবাগনান এলাকায় চায়ের দোকানে ভোট নিয়ে বৈঠকি আড্ডা দেওয়ার পাশাপাশি পথ চলতি মানুষকে তৃণমূলকে আশীর্বাদ করার আহ্বান জানান। এই বিষয়ে তৃণমূলের প্রার্থী শতরূপা পোদ্দার বলেন, “নির্বাচনে ১০০ শতাংশ ভোট পাব। মানুষ ৮ জুলাইয়ের অপেক্ষায় আছেন। আমি আমার জেলা পরিষদ আসন থেকে জেতার পর মানুষের যা কাজ করার করব। জেলা পরিষদের ৪২ নম্বর আসন থেকে দাঁড়িয়েছি। ভোটাররা বলছেন উন্নয়ন খুব ভালোই হয়েছে। ত্রুটি যেগুলো রয়ে গিয়েছে সেগুলো আমি ঠিক করে দেব।”
অপরদিকে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের প্রধান ইস্যু উন্নয়ন বলে জানান আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। তিনি বলেন, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বদলা নয় বদল চাই স্লোগান দিয়ে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছেন। আমরা সেই পরিবর্তন করতে পেরেছি। আমরা অনেক কাজ করেছি, অনেক কাজ বাকি আছে সেগুলো করব। BJP ভুল বুঝিয়েছিল মানুষকে। ভুল বুঝিয়ে মিথ্যা কথা বলে আচ্ছা দিনের নামে ভাওতা দিয়েছিল। ২০১৪ সালে ভুল বুঝিয়েছিল মানুষকে। মানুষ বুঝতে পেরেছে যে আমরা তো কোনও উপকার পাইনি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্ত মানুষকে উন্নয়ন পৌঁছে দিয়েছেন।”
ভোট প্রচার চলাকালীন রাস্তার মধ্যে ডিহিবাগনানের তিন নম্বর সংসদের ২২৯ নম্বর বুথের BJP প্রার্থী পলাশ ঘোষের সঙ্গে দেখা হয়ে যায় তৃণমূলের প্রার্থী শতরূপা ও সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের। তাঁকেও উন্নয়নের বার্তা দেন তিনি। এরপর BJP প্রার্থী পলাশ ঘোষকে তৃণমূলের ভোট প্রচার নিয়ে জানতে চান তিনি।
এটাকে সৌজন্যের রাজনীতি বললেও স্থানীয় প্রধানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন BJP প্রার্থী। সব মিলিয়ে এদিন তৃণমূলের জেলা পরিষদের প্রার্থী শতরূপা পোদ্দার ভোট প্রচারে এলাকার মানুষের অনেকটাই মন জয় করলেন বলা যায়।