Presidency University : মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক, তা হলে আমাকে ডাকছেন কেন? – a parent expressed displeasure over the summoning of the parents by the presidency university authorities


এই সময়: ছাত্রছাত্রীদের ব্যক্তিগত ‘অ্যাফেয়ার’ নিয়ে অভিভাবকদের তলব করেছিলেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অভিভাবক-মহলের অনেকে এতে রুষ্ট, স্তম্ভিত ও বিরক্ত। যদিও উল্টো মতও উঠে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, তলব পেয়ে কর্তৃপক্ষকে নিজের বিরক্তির কথা জানিয়েছেন এক ছাত্রীর বাবা। তিনি বিশ্ববিদ্যলয়কে জানিয়েছেন, প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য এ ভাবে যেন তাঁকে বিড়ম্বনায় ফেলা না হয়। তাঁর মেয়ে যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য। এ নিয়ে কথা বলতে তিনি ‘কমফের্টবল’ নন। প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ অবশ্য এরপর আর তেমন বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাননি।

Presidency University : প্রেমের পথে ‘কাঁটা’ প্রেসিডেন্সি, ডাকা হচ্ছে অভিভাবকদের! কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ
ওই ছাত্রীর সঙ্গে ‘এই সময়’-এর তরফে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলতে আগ্রহী নন তিনি। সহপাঠীরা জানাচ্ছেন, ঘটনার পর মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত ওই ছাত্রী। তবে বাকি যে পড়ুয়াদের অভিভাবকরা প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন, তাঁদের এ নিয়ে অস্বস্তি থাকলেও কর্তৃপক্ষের আচরণ সম্পর্কে প্রশ্ন তোলেননি। কারও কারও বক্তব্য, তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা, আলোচনার সময়ে কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত সাবধানী ছিলেন।

Presidency University : ‘প্রকাশ্যে চুমুর অধিকার চাই, মদন মিত্রের নো এন্ট্রি! পালটা নির্দেশিকা জারি প্রেসিডেন্সির পড়ুয়াদের
বিশ্ববিদ্যালয়ে নীতি পুলিশি চালানো, পড়ুয়াদের গতিবিধিতে লাগাম পরানো ‘কোড অফ কনডাক্ট’ চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রেসিডেন্সির বিরুদ্ধে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক বেধেছে ছাত্রছাত্রীদের ব্যক্তিগত সময়ের ছবি সিসিটিভি ক্যামেরায় বন্দি করে তা পেন ড্রাইভে সেভ করে রাখা নিয়ে। অভিভাবকদের অনেকেরই প্রশ্ন, শাসন বা সচেতনতার নামে পড়ুয়াদের ব্যক্তিগত মুহূর্তের ফুটেজ সংগ্রহ করা কোন ধরনের কাজ! এ ভাবে কেমন মানুষ তৈরি করছেন প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ?

Prosenjit Chatterjee Son : অভিনয় নয়, অন্য পেশায় কেরিয়ার গড়তে চান প্রসেনজিৎ-অর্পিতার একমাত্র ছেলে মিশুক?
কেউ কেউ আবার কর্তৃপক্ষের পাশেও আছেন। ইতিহাস বিভাগের এক পড়ুয়ার বাবার কথায়, ‘শাসন করার পদ্ধতিতে গোলমাল থাকতে পারে। কিন্তু ক্যাম্পাসের মধ্যে কিছু শিষ্টাচার পালন করাই উচিত। ছাত্রছাত্রীদেরও এমন কোনও আচরণ করা উচিত নয় যাতে মা-বাবাকে সমস্যায় পড়তে হয়।’

Buddhadeb Bhattacharya Daughter : ‘বিয়িং বোল্ড’, বুদ্ধ-কন্যা চান সুচেতন হতে
ছাত্রছাত্রীরা অবশ্য নীতি পুলিশি ও ‘কোড অফ কনডাক্ট’-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জারি রেখেছেন। তাঁদের বক্তব্য, ‘এ সব কাজের জন্য কর্তৃপক্ষ এমন একটা সময়কে বেছে নিয়েছেন, যখন সেমেস্টার ব্রেক চলছে।’ কর্তৃপক্ষের জন্যও পাল্টা ‘কোড অফ কনডাক্ট’ তৈরি করেছেন প্রতিবাদী পড়ুয়ারা। বলা হয়েছে, ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি-ভিডিয়ো না জানিয়ে সংগ্রহ করা যাবে না। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর-ও।

প্রেসিডেন্সিতে কি ‘নীতি পুলিশি’: কী বলছেন অভিভাবকরা?
‘ডিন অফ স্টুডেন্টসের নিজের কলেজ-বেলার কথা কি মনে পড়ে? ছেলেমেয়েরা যথেষ্ট বড় হয়েছে। ওদের ব্যক্তিগত বিষয়ে অভিভাবকদের ডাক কেন? অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক আচরণ।’- দেবকুমার সান্যাল, অভিভাবক (পারফর্মিং আর্টস)

‘তিন বছর হয়ে গেল মেয়ে পড়ছে। একবারও তো পড়াশোনা, পরিকাঠামো, অন্য কোনও গঠনমূলক বিষয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করার কথা মনে পড়েনি কর্তৃপক্ষের। ওয়াশরুমে যখন মেয়েদের গোপনে ছবি তোলার অভিযোগ উঠেছিল, তখনও ডাকেননি কাউকে। এখন এ সব কী? অত্যন্ত নিম্নরুচি দেখাচ্ছেন তাঁরা।’- লিলি রায়, অভিভাবক (ইংরেজি)

‘প্রেসিডেন্সি আমাদের কাছে মুক্তচিন্তার প্রতীক। তাই ছেলে যখন প্রেসিডেন্সিতে ভর্তি হয়, খুব খুশি হয়েছিলাম। কর্তৃপক্ষের একরোখা মনোভাবে সেই সুনামটা যেন ক্ষুণ্ণ না হয়। কোড অফ কনডাক্ট নিয়ে তাঁরা পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন না কেন?’- প্রীতম ভট্টাচার্য (বাংলা)

প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য,

নীতি পুলিশি চালানো আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা কিছু অভিভাবক এবং পড়ুয়ার সঙ্গে আলোচনা করেছি, তাঁদের কাউন্সেলিং করিয়েছি, যাতে ছেলেমেয়েরা বুঝতে পারে, পাবলিক স্পেসে কী ভাবে ব্যক্তিগত মুহূর্ত কাটাবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *