Sonarpur Murder Case : ভোম্বলের বিরুদ্ধে খুন, প্রমান লোপাটের ধারাও – murder and evidence tampering case against husband after skeleton recovered from septic tank of rented house in sonarpur


এই সময়, কলকাতা ও সোনারপুর: প্রথমে ছিল অপহরণের মামলা। শনিবার সিআইডি তদন্তে সোনারপুরের ভাড়া বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে টুম্পা মণ্ডলের কঙ্কাল উদ্ধারের পর যুক্ত হলো খুন ও প্রমাণ লোপাটের ধারাও। রবিবার টুম্পার স্বামী ভোম্বল মণ্ডলকে আদালতে তোলা হলে তাঁকে ১২ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় খুনের কথা ভোম্বল স্বীকার করলেও ঠিক কী কারণে খুন–তা নিয়ে নিশ্চিত হতে তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। পাশাপাশি শুধু রাগের মাথায় তিনি একাই টুম্পাকে খুন করে দেহ লোপাট করেছিলেন, নাকি এর পিছনে আরও কেউ ষড়যন্ত্র করেছিলেন–সেটা জানার চেষ্টা চলছে।

Honour Killing: পরিবারের সম্মান রক্ষায় খুন, যুগলের দেহ কুমির ভর্তি নদীতে ফেলল আততায়ীরা!
প্রাথমিক জেরায় টুম্পার মোবাইলে ব্যস্ত থাকা, অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক থাকার সন্দেহের কথা জানিয়েছেন ভোম্বল। যদিও ভোম্বল জোর করে তাঁর স্ত্রীকে দেহ ব্যবসায় নামানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে টুম্পার পরিবার যে অভিযোগ তুলেছেন–সেটাও একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না সিআইডি। জামিন পাওয়ার পর অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন ভোম্বল। রহস্যের জট কাটাতে তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকেও জেরা করা হতে পারে। গোয়েন্দারা মনে করছেন, নিজের সম্পর্ক গোপন করতে এবং দেহ ব্যবসায় নামতে অস্বীকার করায় স্ত্রীকে খুন করে থাকতে পারেন অভিযুক্ত। উদ্ধার হওয়ায় হাড়গোড়ের ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হবে বলেও সিআইডি সূত্রে খবর।

Barrackpore Murder Case: দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন! তরুণী চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপার মৃত্যুতে গ্রেফতার লিভ-ইন পার্টনার
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বছর তিনেক আগে সোনারপুরের মিলনপল্লিতে যে ভাড়া বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে এসেছিলেন অভিযুক্ত। রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন ভোম্বল। করোনার সময় কাজ চলে যাওয়ায় আর্থিক সমস্যায় জেরবার হচ্ছিলেন তিনি। সন্তানের বয়স তখন তিন বছরের আশপাশে। এমন অবস্থায় টুম্পাকে জোর করে দেহ ব্যবসায় নামানোর জন্য কয়েকজনের থেকে টাকাও ধার নিয়েছিলেন ভোম্বল, অভিযোগ তেমনটাই।

Barrackpur Doctor Death Mystery: প্রজ্ঞাদীপার মৃত্যুর সময় কোথায় ছিলেন কৌশিক? রহস্যমৃত্যুর জট খুলতে ফরেনসিক
সোনারপুরের মিলনপল্লির এই বাড়ির মালিক গোয়েন্দাদের কাছে দাবি করেছেন, ভোম্বলের দিদি-জামাইবাবু আগে ভাড়া থাকতেন এই বাড়িতে। সেই সূত্রে ২০২০ সালে ভাড়া এসেছিলেন ভোম্বলরা। ঝামেলার কথা বলে বেরিয়ে যান ভোম্বল। আগেও ঝামেলা হতো, তাই সন্দেহ হয়নি। পরে বকেয়া ভাড়ার টাকাও এক জনের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ভোম্বল। নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাঁর বাবা লক্ষ্মণ হালদার।

Tantrik Killed UP Woman : পুরুষ হওয়ার আকাঙ্খায় তান্ত্রিকের শরণাপন্ন, লেসবিয়ান তরুণীর ভয়ংকর পরিণতি
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোনারপুরের ওই এলাকাটি অত্যন্ত ঘিঞ্জি। আবর্জনা, দুর্গন্ধযুক্ত নর্দমাও রয়েছে। ফলে সেপটিক ট্যাঙ্কে দেহ পচার গন্ধও সেভাবে পাওয়া যায়নি। প্রশ্ন উঠছে, নিখোঁজ টুম্পার সন্ধানে তিন বছর আগেই পুলিশ কেন তল্লাশি চালাল না? পাশাপাশি দেহ লোপাটের সময়ে গন্ধ চাপা দিতে কোনও রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *